শনিবার ব্রিগেডে তৃণমূলের সমাবেশে আসছেন না রাহুল গান্ধী এবং সনিয়া গান্ধী।
কলকাতা: শনিবার ব্রিগেডে তৃণমূলের সমাবেশে আসছেন না কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী। বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা বলেছেন, তাঁরা চান দলের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত থাকুন লোকসভায় তাঁদের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে।
প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা চেয়েছিলেন, ১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ডাকে বিরোধী নেতাদের নিয়ে ব্রিগেডের সমাবেশ থেকে দূরে থাকুন রাহুল গান্ধী এবং সনিয়া গান্ধী, ঠিক যেভাবে মধ্যপ্রদেশে কমলনাথের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নিজে না গিয়ে দলের সাংসদ দিনেশ ত্রিবেদীকে পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী।
মঙ্গলবার তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসাবে ব্রিগেডের সমাবেশে থাকবেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে।
মমতার ব্রিগেডের পাল্টা, অমিত শাহকে এনে সভা করবে বিজেপি
প্রদেশ কংগ্রেস এক নেতার কথায়, “আমরা খুশী যে, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আমাদের আবেগকে গুরুত্ব দিয়েছে। দলের নেতাদের ইচ্ছেই ছিল ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সমাবেশে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর থাকার বিরুদ্ধেই ছিল দলীয় নেতৃত্ব। তাই হাইকম্যান্ডের কাছে আমরা অনুরোধ করি, তারা যেন দলীয় নেতাদের আবেগের বিষয়টি বিবেচনা করেন”।
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর, ব্রিগেডের সমাবেশে বক্তৃতার জন্য একটি নোট পাঠাতে চলেছেন তাঁরা। অপর একজন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা বলেন, “আমরা তাঁকে জানাব, রাজ্যে সন্ত্রাসের রাজত্ত্ব চলছে, এবং কীভাবে আমাদের দলের কর্মীরা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন”।
পুরনো খেলা খেলছে বিজেপি, কর্নাটকের পরিস্থিতি নিয়ে মত মুখ্যমন্ত্রীর
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেস নেতা বলেন, রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলের নেতা হিসাবে মানতে চায় না তৃণমূল কংগ্রেস। তার প্রমাণ পাওয়া যায়, যখন ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে রাহুল গান্ধীর নাম প্রস্তাব করেছিলেন।
এক কংগ্রেস নেতা বলেন, “মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে রাহুলজীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া সমস্ত বিরোধী দল তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলেন, তারা তাঁকে কৃতিত্ত্ব দিতে চায় না”।
ওই কংগ্রেস নেতা এও অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার পথে বড় বাধা রাহুল গান্ধী।
গত মাসে তিন রাজ্যে কংগ্রেসের জয়ের পরে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব বলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এই ভয়েই তৃণমূল নেতাদের বিনিদ্র রজনী কাটছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)