কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে আগ্রহ আছে সিপিএমেরও
হাইলাইটস
- নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় স্তরে জোট গঠনের কাজ শুরু হয়েছে
- গত কয়েক বছরের মধ্যে তৃণমূল এবং সিপিএমের সঙ্গে জোট কংগ্রেস
- জোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এ মাসেই বৈঠকে বসছে প্রদেশ কংগ্রেস
কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় স্তরে জোট গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। সেই জোটে গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা কংগ্রেস। সভাপতি রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে অন্য শীর্ষ নেতারা চেষ্টা করছেন যাতে শেষমেশ জোট হয়। একাধিক দলের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে। এনডিএ ছেড়ে আসা কেউ সেই জোটে সামিল হয় কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে। সেই জোট- আবহ এসেছে পশ্চিমবঙ্গেও। প্রদেশ কংগ্রেসও জোট করতে চায়। কিন্তু কার সঙ্গে সেই জোট হবে তা নিয়ে যদি-কিন্তু রয়েছে নেতাদের মধ্যে। গত কয়েক বছরের মধ্যে কয়েকবার তৃণমূল এবং একবার সিপিএমের সঙ্গে জোট করেছে কংগ্রেস। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের সঙ্গে জোট করেও তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারেনি কংগ্রেস। এরপর আবার কি সিপিএম সহ বামেদের হাত ধরবে কংগ্রেস? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে প্রদেশ দফতর বিধান ভবনে।
রাফাল বিতর্কঃ আগের রায় খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেন দুই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
দলের একটি অংশের নেতারা মনে করছেন সিপিএমের সঙ্গে অঘোষিত জোট করা উচিত কংগ্রেসের। অন্যদের মনে হয় এক পথ চলাই একমাত্র রাস্তা! দলের প্রবীণ নেতা এবং রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন দলের একটা বড় অংশ সিপিএমের সঙ্গে জোট করার পক্ষে। অন্য অংশ চায় একা লড়তে। প্রথম বক্তব্যে বিশ্বাস করা নেতার সংখ্যাই বেশি। এমতাবস্থায় সিদ্ধান্ত নিতে এ মাসের শেষের দিকে বৈঠক ডাকা হবে বলে জানান দলের এক প্রবীণ নেতা। আরও জানা গিয়েছে দলের কিছু নেতা সিপিএমের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনাও সেরে রেখেছেন। তবে সে যাই হোক রাহুল চান বাংলায় কংগ্রেসের সংগঠন শক্ত হোক। প্রদেশ সভাপতিকে সেই বার্তাই তিনি দিয়েছেন। একটি সূত্র বলছে ১৮ থেকে ২০ টি আসন পেলেই জোট করতে আগ্রহ দেখাবে কংগ্রেস।
লোকসভা নির্বাচনে মানুষের সঙ্গে বিজেপি বিরোধী জোটের লড়াই হবেঃ মোদী
গত বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পরও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে আগ্রহ আছে সিপিএমেরও। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি থেকে শুরু করে রাজ্য নেতাদের অনেকেই জোটের পক্ষে। দলের সাম্প্রতিক পার্টি কংগ্রেসেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের তত্বেই শিলমোহর পড়েছে। তাতে অবশ্য আপত্তি আছে বাম ফ্রন্টের কোনও কোনও শরিকের।