This Article is From Jul 02, 2018

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ও কংগ্রেসের জোট বাঁধার বিষয়ে ফাটল দেখা গেছে

2016 সালে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বামফ্রন্টের সাথে জোট বেঁধেছিল কংগ্রেস।কিন্তু তাতেও কংগ্রেস শেষ রক্ষা করতে পারেনি

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ও কংগ্রেসের জোট বাঁধার বিষয়ে ফাটল দেখা গেছে

2014 সালের সাধারণ নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের 42 টি আসনের মধ্যে 34 টি লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস

কলকাতা:

তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে কংগ্রেসের জোট বাঁধার বিষয়ে এক বিরাট ফাটল দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গে। 2019 -এর গুরুত্বপূর্ণ বিধান সভা নির্বাচনের আগে রাজ্য নেতৃত্ব এই গুরুত্বপূর্ণ জোটকে নাকচ করে দিয়েছে।বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থানের জন্য কংগ্রেসের রাজনৈতিক সত্ত্বা অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে।পশ্চিমবঙ্গে নিজের স্থান বজায় রাখতে হলে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে কঠিন সংঘাতের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

রাজ্যে যাতে কোনো ভাবেই বিজেপি নিজের স্থান করে নিতে না পারে, সেটাই তৃণমূলের একমাত্র লক্ষ্য। এদিকে কংগ্রেসের কিছু বিধায়ক ও নেতারা মনে করছেন 2019 -এ বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য তৃণমূলের সাথে জোট বাঁধাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। 

রাজ্যের প্রেসিডেন্ট অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং দলের অন্য নেতারা মনে করেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে জোট বাঁধার  মনে হল ''আত্মহত্যা করা''।

গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জির সাথে দেখা করার জন্য কংগ্রেসের আবু হাসেম খান চৌধুরী, মনিউল হক তাঁর বাড়িতে গেছিলেন। অন্যদিকে সেদিন বিজেপি প্রধান অমিত শাহ পুরুলিয়ায় জনসভা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাঁর এই অগ্রগতিটি রাজ্য কংগ্রেসের অনেক নেতাই মেনে নিতে পারছেন না। 

এদিকে ফারাক্কার এমএলএ মনিউল হক জানিয়েছেন, পার্থ চ্যাটার্জির বাড়িতে সঙ্ঘটিত আলোচনায় তিনি উপস্থিত ছিলেন, মমতা ব্যানার্জির দলের সাথে যোগদান করাটা নির্বাচনের পদ্ধতিকে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাবে বলেই তিনি জানিয়েছেন।

''জাতীয় স্তরে বিজেপির সাথে লড়াই করার মতো ক্ষমতা একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসেরই আছে, তাই আমি এই দলের সাথে যোগ দেওয়ার পক্ষপাতি। কংগ্রেসের একার পক্ষে বিজেপির সাথে লড়াই করা সম্ভব না।'' যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে জোট বাঁধার বিষয়ে পার্টির তরফ থেকে এখনও  সেরকম ভাবে কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি, চৌধুরী যা করেছেন তা সম্পূর্ণ রূপে নিজের তরফ থেকেই করেছেন বলে জানানো হয়েছে।

অধীর চৌধুরী সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর কাছে এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ''তৃণমূলের নেতার সাথে আবু হাসেম খান চৌধুরী কেন দেখা করতে গেছিলেন সেই বিষয়টা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। তিনি একজন বর্ষীয়ান এমপি।''

''পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সবচেয়ে বড়ো বিরোধী শক্তি হল তৃণমূল। আসলে কয়েক বছর ধরে বঙ্গে কংগ্রেসের শক্তি ক্ষীণ হয়ে এসেছে। কিন্তু টিএমসি-র সাথে জোট বাঁধা আত্মহত্যার নামান্তর ছাড়া আর কিছুই নয়।'' পিসিসি-র প্রধান জানিয়েছেন। 

2016 সালে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বামফ্রন্টের সাথে জোট বেঁধেছিল কংগ্রেস।কিন্তু তাতেও কংগ্রেস শেষ রক্ষা করতে পারেনি, মাত্র 44 টি আসনে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল তারা। গত দুই বছরে পার্টি 11 জন বিধায়ককে হারিয়েছে।  

2014 সালের সাধারণ নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের 42 টি আসনের মধ্যে 34 টি লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস চারটি আসন লাভ করলেও বিজেপি ও বামফ্রন্টের ঝুলিতে দুটি করে আসন গেছিল।


 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)

.