This Article is From Apr 17, 2020

মাস্ক পরেই বিয়ে করলেন খড়গপুরের পাত্র-পাত্রী! দুঃস্থদের খাওয়াতে দান করলেন টাকা

নবদম্পতির দাবি, "বিয়েতে কিছু গরিব মানুষকে খাওয়াতে পারলাম। এটা ভেবেই আমরা খুশি।" 

মাস্ক পরেই বিয়ে করলেন খড়গপুরের পাত্র-পাত্রী! দুঃস্থদের খাওয়াতে দান করলেন টাকা

লকডাউনের মধ্যেই মুখোশ পরে বিয়ে সারলেন দম্পতি।

হাইলাইটস

  • মাস্ক পরে খড়গপুরে বিয়ে করলেন পাত্র-পাত্রী
  • ঘরোয়া আয়োজনে সম্পন্ন হয়েছে এই বিয়ে। দুঃস্থ খাওয়াতে দান করা হয় টাকা
  • ১৩ মার্চ এই বিয়ে স্থির হলেও, পাত্রের মায়ের শরীর খারাপ হওয়ায় পিছোয় বিয়ে
খড়গপুর:

১৫ জন অভ্যাগতের উপস্থিতিতে শুভ পরিণয় সম্পন্ন হল স্বাতী নাথ আর সৌরভ কর্মকারের। লকডাউনের (Amid Lockdown) মধ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতির বিয়ে ঘিরে এখন চর্চা তুঙ্গে। অভিযোগ, স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে সম্পন্ন হয়েছে সেই এলাহি বিয়ে। সেই আবহেই বৃহস্পতিবার খড়গপুরের (Kharagpur's Wedding) এই বিয়ের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য। যদিও জানা গিয়েছে, মুখে মাস্ক (Wedding with Mask) পরেই সামাজিক আচার মেনে বিয়ে সেরেছেন পাত্র-পাত্রী। উপস্থিত অভ্যাগতরাও পরে ছিলেন মাস্ক। একমাত্র যারা উলুধ্বনি দিচ্ছিলেন ও শাঁখ বাজাচ্ছিলেন তাঁরা মাঝে মধ্যে খুলছিলেন মাস্ক। এমনকি, গোটা উপাচার মুখে মাস্ক পরেই সম্পন্ন করেন পুরোহিত। এলাহি ভোজের ব্যবস্থা ছিল না। তবে দুঃস্থদের খাওয়াতে ৩১ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন এই নবদম্পতি। 

লকডাউনের মধ্যেই ২০ এপ্রিলের পর আরও কোন কোন বিষয়ে মিলবে ছাড় জেনে নিন

পারিবারিক সুত্রে খবর, খড়গপুরের এক ফাস্ট ফুড দোকানের মালিক সৌরভ। লকডাউনের জেরে এখন বন্ধ সেই ব্যবসা। এই দু'জনের বিয়ে স্থির হয়েছিল ১৩ মার্চ। কিন্তু পাত্রের মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় পিছতে হয়েছিল সেই নির্ঘণ্ট। এরপর থেকে সৌরভের বাড়িরই কাছে এক আত্মীয়য়ের বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন স্বাতী। সময়-অসময়ে গিয়ে খোঁজ নিয়ে আসতেন হবু-শাশুড়ির। এভাবেই দু'পক্ষের সহমতে আর পাত্র-পাত্রীর মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে ঘরোয়া আয়োজনে ১৬ এপ্রিল সম্পন্ন করা হয় পরিণয়। তবে, পাশের জেলায় থাকায় কারণে মেয়ের এই সুদিন নিজের চোখে দেখতে পারলেন না স্বাতীর মা। লকডাউনের জেরে পরিবহণ না চলায় তিনি উপস্থিত হতে পারেননি খড়গপুরের বিয়ে বাড়িতে। তাই স্বাতীর এক কাকিমাই সব দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনটাই জানা গিয়েছে সেই পরিবার সুত্রে।

আরবিআইয়ের পদক্ষেপের ফলে ঋণ সরবরাহে উন্নতি হবে, কৃষক ও দরিদ্ররা সাহায্য পাবে: প্রধানমন্ত্রী

পাত্র সৌরভ কর্মকারের দাবি, "অতিথি আপ্যায়ন বাবদ বেঁচে যাওয়া ৩১ হাজার টাকা স্থানীয় ক্লাবকে দান করা হয়েছে। আমি সেই ক্লাবের সদস্য। ক্লাব সদস্যদের বলা হয়েছে সেই টাকায় আগামী দু'দিনে ৫০০ জনের খাবারের ব্যবস্থা করতে। লকডাউন শুরু হওয়া ইস্তক সেই ক্লাবই এলাকার দুঃস্থদের খাওয়াতে উদ্যোগ নিয়েছে। এই ব্যাপারে আমি পরিবারকে জানালে তারাও  এই মানবিক কাজে সম্মতি দিয়েছে।" নবদম্পতির দাবি,"বিয়েতে কিছু গরিব মানুষকে খাওয়াতে পারলাম। এটা ভেবেই আমরা খুশি।" 
 

.