কলকাতা: সব রেকর্ড ভেঙে একদিনে ৫৪২ জন সংক্রমিত বাংলায় (Covid-19 in Bengal)। ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক সংক্রমণ (Highest spike in 24 hours)। এমনটাই দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। এর আগে ১২ জুন একদিনে ৪৭৬ জন সংক্রমিত হয়েছিল রাজ্যে। কিন্তু এদিন সেই পরিসংখ্যানও ছাপিয়ে গেল। ২৫ জুন ৪৭৫ জন সংক্রমিত হয়েছিল। এমনটা জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন মৃত। এই সংখ্যা ধরে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬১৬। সক্রিয় সংক্রমণ ৫০৩৯, মোট সংক্রমণ ১৬ হাজার ১৯০। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, একদিনে ৯৫৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। মোট ৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ৭৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে রাজ্যে। জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, কলকাতায় (Covid-19 in Kolkata) সংক্রমিত ১২৮ জন। হাওড়ায় ১১০ জন। দুই ২৪ পরগনায় ১৫১ জন আর হুগলিতে ৩০ জন।
৩১ জুলাই অবধি রাজ্যে বেড়েছে লকডাউন। বুধবার সর্বদলের বৈঠকের পর সেই সিদ্ধান্ত জানান খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এবার এই পর্বে আরও কিছু বিধি শিথিলে উদ্যোগ নিল নবান্ন। শুক্রবার বিকেলে নবান্নে সেই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "সোশাল দূরত্ব মানলে পয়লা জুলাই থেকে চলতে পারে মেট্রো। মেট্রোয় যতগুলো আসন, ততজন যাত্রী এই শর্তে মেট্রো চললে আমার কোনও অসুবিধা নেই। কীভাবে সেটা সম্ভব আমাদের মুখ্যসচিব আর মেট্রো রেলকর্তারা আলোচনা করেছেন।" মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, "পথে প্রায় আড়াই হাজার বাস-মিনিবাস আছে। আমরা বাস সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি। ওদের বলেছি পয়লা জুলাই থেকে আরও পাঁচ-ছ'হাজার বাস পথে নামাতে। বাস আর মেট্রো চালু হলে মানুষের হয়রানি কিছুটা কমবে।" তবে এখনই বাসভাড়া বাড়ানোর হবে না। এমনটাও স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আশ্বাস, "আগামি তিন মাস বাস ও মিনিবাস পিছু ১৫ হাজার টাকার বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দেবে পরিবহণ দফতর।"
এদিন লকডাউন বিধি শিথিল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "ভোর পাঁচটা থেকে রাত দশটা অবধি চলবে লকডাউন। আগে রেস্তোরাঁ রাত ন'টার মধ্যে বন্ধ করতে হতো। সেটা এখন থেকে দশটায় বন্ধ করা যাবে।" তাঁর মতে, "দেশে সবকিছু চালু হয়েছে। বিমান, ট্রেন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এভাবে কীভাবে লকডাউন চলছে। তাহলে যাঁদের অর্থের দরকার, তাঁরা কেন বাড়িতে বসবে।" পাশাপাশি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, "আপনারা এবার থেকে শুধু অ্যাক্টিভ বা সক্রিয় সংক্রমণে জোর দিন। যাঁরা সংক্রমিত হয়ে আসছে, আবার বাড়ি ফিরে যাচ্ছে তাঁদের খবর করে কী হবে! আমাদের রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়েছে। আমি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অনুরোধ করেছি সবাইকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে দিতে।"