Bengal clashes: সন্দেশখালি ঘটনায় বিজেপির তিন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।
কলকাতা /নিউ দিল্লি:
উত্তর চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) বিজেপি (BJP) কর্মীদের মৃত্যুর ঘটনায় কালা দিবস পালনের (Black Day ) সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। পাশাপাশি ১২ ঘণ্টার বসিরহাট বনধ ডাকা হয়েছে। আজ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কালা দিবস পালিত হবে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করবেন বিজেপি কর্মীরা। কলকাতার ধর্মতলায় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee) নেতৃত্বে মিছিল হবে। এরকমই আরও নানা কর্মসূচি নিয়ে রেখেছে পদ্ম শিবির। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পরামর্শ বার্তা এসে পৌঁছেছে। সেখানে বলা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা (Law And Order) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পাল্টা রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছে মাত্র তার বেশি কিছু নয়।
রইল দশটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
বিজেপির দাবি মৃত কর্মীদের কলকাতায় নিয়ে গিয়ে সৎকারেও বাধা দিয়েছে পুলিশ। তাই কলকাতার কাছে একটি গ্রামে সৎকার পর্ব সারতে হয়েছে। সন্দেশখালি ঘটনায় বিজেপির তিন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।
এরকমই উত্তেজক আবহে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) সঙ্গে দেখা করবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল (Governor Of West Bengal) কেশরীনাথ ত্রিপাঠী (Keshari Nath Tripathi) । তবে তিনি জানিয়েছেন রাজ্যের রাজনৈতিক সংঘর্ষ সম্পর্কে আলোচনা করতে যাচ্ছেন না।দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় মোদীকে অভিনন্দন জানাতে যাচ্ছেন মাত্র। তিনি বলেন রাজনৈতিক সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনার জন্য আমি আসিনি। এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর সুযোগ হয়নি তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছি।
দিল্লি গিয়ে একথা বললেও এর আগে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। গোটা ঘটনাটিকে তিনি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ব্যাখ্যা করেছেন। পাশাপাশি স্বজনহারানো মানুষদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
দলীয় পতাকা লাগানো ঘিরে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক তৃণমূল কর্মীকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। পাল্টা বিজেপির দাবি তাদের কর্মীদের খুন করেছে তৃণমূল। গোটা ঘটনার প্রতিবাদে বসিরহাট মহকুমায় ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি
কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেও কেন এত সংঘর্ষ হচ্ছে তা নিয়ে চিন্তিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এরপরই মন্ত্রকের তরফ একটি ‘পরামর্শ বার্তা' রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়। তাতে লেখা হয়েছে গত কয়েক সপ্তাহে যে সন্ত্রাস হচ্ছে সেগুলি দেখে মনে হচ্ছে আইন বলবৎ করা দায়িত্বে যে সমস্ত সংস্থা রয়েছে তারা নিজেদের কাজ ঠিক করে করতে পারছে না। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখতে তারা ব্যর্থ।
ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে বলে দাবি করল রাজ্য প্রশাসন। সন্দেশখালিতে তৃণমূল এবং বিজেপির সংঘর্ষে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনায় রবিবার সকালে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার বার্তা দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। মোদী সরকারের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রাজ্যের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল নির্বাচনের পর কয়েকটি বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তৃণমূল অবশ্য গোটা ব্যাপারটাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত হিসেবেই দেখছে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ একটি শান্ত রাজ্য। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরামর্শ পাঠানোর কোনও প্রয়োজন নেই। উত্তর প্রদেশ বা গুজরাটের ক্ষেত্রে কোনও পরামর্শ পাঠানো হচ্ছে না কেন? এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত। আমরা বলছি সাহস থাকে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করে দেখান।
গত দশ দিন ধরেই রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এবার পশ্চিমবঙ্গে অভাবনীয় ফল করেছে বিজেপি। ৪২টির মধ্যে ১৮টি আসন- ই তারা জিতেছে।
Post a comment