Read in English
This Article is From Sep 15, 2019

প্লাস্টিকের বোতল ও টায়ারের বাগান! বাংলার ফরেস্ট আধিকারিকের অভিনব উদ্যোগ

মেদিনীপুরের এক ফরেস্ট রেঞ্জ আধিকারিক সকলকে চমকে দিয়েছেন প্লাস্টিকের বোতল ও রবার টায়ার দিয়ে এক সুন্দর বাগান (Gareden) বানিয়ে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

সব মিলিয়ে ১১০০ পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল ও টায়ার এখনও পর্যন্ত বৃবহৃত হয়েছে এই বাগানে। (এএনআই))

মেদিনীপুর:

প্লাস্টিক (Plastic) থেকে তৈরি হওয়া দূষণ নিয়ে গোটা পৃথিবী চিন্তিত। এদেশেও কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ করতে চলেছেন প্লাস্টিক দূষণের প্রতিকারে। এই অবস্থায় মেদিনীপুরের (Midnapur) পিরাকাটা রেঞ্জের এক ফরেস্ট রেঞ্জ আধিকারিক সকলকে চমকে দিয়েছেন এক সুন্দর বাগান (Gareden) বানিয়ে। সেই বাগান তৈরি করতে তিনি ব্যবহার করেছেন প্লাস্টিকের বোতল ও রবার টায়ার। পাপন মহান্ত নামের সেই আধিকারিক গত চার বছর ধরে অফিসের কাজের সময় বাদে এই বাগান তৈরিতে মগ্ন ছিলেন। অফিসের চৌহদ্দিতেই তিনি বানিয়ে তুলেছেন এই অভিনব বাগান। তাঁর এহেন আশ্চর্য উদ্যোগ পথ দেখাচ্ছে স্থানীয়দেরও। এলাকার কিছু কিছু স্কুলে এই ধরনের বাগান তৈরি হচ্ছে।

বর্ধমানে সক্রিয় টিয়া পাচারকারী চক্র, উদ্ধার ৫০০ টিয়াপাখি, গ্রেফতার ২

পাপন জানাচ্ছেন, ‘‘এখানে প্রথম যখন পোস্টিং হয় আমার, এসে দেখেছিলাম প্রচুর বর্জ্য। আমি এলাকাটা সুন্দর করতে চেয়েছিলাম। কাজ শুরু করার পর, আমার ভাল লাগছে এটা দেখে যে লোকেরা এখানে এলে আমার কাজের প্রশংসা করে।''

শ্যুটিংয়ে প্লাস্টিকের বোতল নিষিদ্ধ করল কুলি নং 1: প্রশংসায় পঞ্চমুখ নরেন্দ্র মোদি

Advertisement

তিনি আরও জানান, ‘‘আমি এখানে চার বছর ধরে পোস্টেড। আমি শীতকালে পেটুনিয়া চাষ করি। এখন মরশুমি ফুল। এই বাগান দেখে আশপাশের স্কুলেও এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। কাছাকাছি অবস্থিত সিআরপিএফ জওয়ানরাও তেমনটা করেছে। এটা সত্যিই ভাল ব্যাপার, যখন লোকেরা আপ‌নার থেকে প্রেরণা পায়।'' সব মিলিয়ে ১১০০ পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল ও টায়ার এখনও পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়েছে এই বাগানে। 

স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষক সুবিনয় ঘোষ জানাচ্ছেন, তিনিও এই একই ভাবে তাঁর স্কুলে বাগান তৈরি করতে চেষ্টা করছেন। তাঁর আশা, পরিবেশ রক্ষার এই উদ্যোগ বড় আন্দোলন হয়ে উঠবে।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘‘এই বাগান থেকে আমাদের শেখা উচিত ভবিষ্যতে পৃথিবীকে কী করে বাঁচানো যায় এবং প্লাস্টিককে পুনর্বব্যবহার করা যায়। আমি মনে করি এই বার্তা যদি স্কুল বা মিডিয়া সূত্রে লোকের কাছে পৌঁছয় এটা বড় আন্দোলন হয়ে উঠতে পারে। আমার যখন লাগে আমি এখান থেকে গাছ নিয়ে যাই। আমি আশা করি অন্য নার্সারি ও অন্যান্যা ফরেস্ট দফতরও এই ভাবেই বাগান তৈরি করবে। এর ফলে স্থানীয় স্কুলগুলিও প্রভাবিত হবে।''

এলাকার দর্শনীয় এক স্থান হয়ে উঠেছে এই অভিনব বাগান। অনেকেই এই বাগানে আসছেন। তারপর এই বাগান ও পাপনের সুন্দর উদ্যোগকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন।

Advertisement