গোলমাল এড়াতে বাস চালকদের হেলমেট পড়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
হাইলাইটস
- শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ধর্মঘট দ্বিতীয় দিনে পা দিল
- । আজও কলকাতা সহ রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় গোলমাল হয়েছে
- যাদবপুরে মিছিল করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন সুজন চক্রবর্তী
কলকাতা: শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ধর্মঘট দ্বিতীয় দিনে পা দিল। আজও কলকাতা সহ রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় গোলমাল হয়েছে। কয়েকটি স্টেশনে অবরোধের খবর পাওয়া গিয়েছে। যাদবপুরে মিছিল করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন বাম নেতা কর্মী। গোলমাল এড়াতে বাস চালকদের হেলমেট পড়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এমনিতেই বনধ রুখতে কড়া নবান্ন। এদিকে এদিনও কয়েকটি জায়গায় ট্রেন অবরোধ হয়।
৬৩,০০০ খালি পদ রেলে, আবেদন করল ১ কোটি ৯০ লক্ষ জন
রানাঘাটের কাছে একটি স্টেশনে অবরোধ করে বনধ সমর্থকরা। ট্রেন চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। সমস্যা দেখা দেয় শিয়ালদা দক্ষিণ শাখাতেও। তাছাড়া হাওড়ার দাশপুর সহ কয়েক জায়গায় বাসে ভাঙচুরও চলেছে। বনধ সমর্থকদের ছোঁড়া পাথরে জখম হয়েছে বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। রাজাবাজার এলাকায় একটি পুলকার লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে বনধ সমর্থকরা। আহত পড়ুয়াদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন বনধ সমর্থককে গ্রেফতারও করা হয়।এছাড়াও হাওড়ায় স্কুল বাসে পাথর ছোঁড়া হয়। জখম হন বাসের চালক। পড়ুয়া ও চালককে উদ্ধার করে পুলিশ। কোচবিহারেও বাসে পাথর ছোঁড়া হয়। তারপরেই পরিষেষা বন্ধ করে দেন চালক। মঙ্গলবার সকালের দিকেই বনধ সমর্ধথকরা রাস্তায় নেমে পড়ে। সে কথা মাথায় রেখে বুধবার সকাল থেকেই প্রচুর পরিমাণে পুলিশ রাস্তায় নেমে পড়ে। সরকার যে কড়া মনোভাব নেবে তা মঙ্গলবার রাতেই বুঝিয়ে দেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন গায়ের জোরে ধর্মঘট করতে এলে উচিত শিক্ষা দিয়ে দেওয়া হবে।
তরুণীর বিরুদ্ধে হৃদয় চুরির অভিযোগ এনে পুলিশের দ্বারস্থ যুবক!
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে যাত্রী সেজে ময়দান স্টেশনে ঢুকে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ করার চেষ্টার অভিযোগে ২৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে এরা সকলেই টিকিট কিনে প্ল্যাটফর্মে নামে। তারপর সাধারণ ধর্মঘটকে সমর্থনের জন্য স্লোগান দিতে থাকে। পাশাপাশি বাধা দিতে থাকে দমদমগামী ট্রেনের চালককে। পরিস্থিতি এমন হয় যে চালক নিজের কেবিনের দরজা পর্যন্ত বন্ধ করতে পারছিলেন না। শেষমেশ মেট্রো স্টেশনে থাকা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আটক করা হয়। পরে তাদের সকলকেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ দফতরের এক আধিকারিক।