মুখ্যমন্ত্রীকে ১৪ পাতার চিঠি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
কলকাতা: বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) পাঁচ পাতার এক চিঠিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্যপাল একজন মনোনীত ব্যক্তি এবং মুখ্যমন্ত্রী একজন নির্বাচিত ব্যক্তি। এবার পাল্টা চিঠিতে জবাব দিলেন রাজ্যপাল। ১৪ পাতার চিঠিতে ৩৫টি পয়েন্টে তিনি তাঁর বক্তব্য জানিয়েছেন। এটা তাঁর পত্র মারফত উত্তরের দ্বিতীয় কিস্তি। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ পাতার চিঠি লেখেন রাজ্যপালকে। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল বারবার সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন। এবার পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্যপাল। তবে রাজ্যপাল তাঁর চিঠির শেষে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, রাজ ভবনে মুখ্যমন্ত্রীর এক বন্ধু রয়েছে।
রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করে লেখেন, করোনা অতিমারির মোকাবিলায় ব্যর্থতা ঢাকতে অজুহাত দিতেই এই কৌশল অবলম্বন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তৃণমূল নেত্রীকে রাজনীতি ও রণং দেহি ভঙ্গি ত্যাগ করার অনুরোধ জানান। তিনি লেখেন, মুখ্যমন্ত্রীর এমন ব্যবহার কেবল রাজ্যের মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলবে।
"করোনা সঙ্কটের সময় সবচেয়ে বড় শিক্ষা হল স্ব-নির্ভরতা", বললেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি লেখেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই অজুহাত কৌশল আসলে একটি চিত্রনাট্যের অংশ, যার সাহায্যে এই সময়ের মোকাবিলায় করা তাঁর একাধিক ভুলকে ঢাকার অভিপ্রায়ে রচিত।
তিনি আরও লেখেন, ‘‘আপনার সংখ্যালঘু তোষণের বিষয়টি নিজামুদ্দিন মার্কাজের ক্ষেত্রটিতে অত্যন্ত স্পষ্ট ও বিশ্রী ছিল। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়।''
‘‘ফলাফল উৎসাহজনক'': করোনা চিকিৎসায় প্লাজমাথেরাপি প্রয়োগ প্রসঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়াল
প্রসঙ্গত, গত মার্চে দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশ থেকে করোনা সংক্রমণ দারুণ ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। গোটা দেশের সংক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় নিজামুদ্দিন থেকে ছড়ানো সংক্রমণ। বহু আক্রান্তের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে ওই সমাবেশের।