This Article is From Jun 01, 2019

২৯ কাউন্সিলরের দলবদলে নৈহাটি পুরসভায় নতুন প্রশাসক আনল রাজ্য

কার্যত শাসকশূন্য উত্তর ২৪ পরগণার এই পৌরসভার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষণাবেক্ষণে নতুন প্রশাসন নিয়োগ করল রাজ্য।

Advertisement
Kolkata
কলকাতা:

ইতিমধ্যেই নৈহাটি পুরসভার (Naihati Municipality) বিশাল সংখ্যক কাউন্সিলর দলবদলে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। ফলে, কার্যত শাসকশূন্য উত্তর ২৪ পরগণার এই পুরসভার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষণাবেক্ষণে নতুন প্রশাসন নিয়োগ করল রাজ্য (Bengal Govt Appoints Administrator)। আজ একথা জানান, কলকাতার পুরসভার মেয়র ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, ইতিমধ্যেই পুরসভার ৩১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২৯ জন দলবদল করে যোগ দিয়েছেন বিরোধী পক্ষে। গতকাল, তাঁদের মধ্যে ১৮ জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন নৈহাটি পুরসভায়। এরপরেই এলাকার দেখভাল ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নতুন প্রশাসক নিয়োগে বাধ্য হয় রাজ্য। 

হাকিম এও বলেন, হালিশহর, ভাটপাড়া, কাঁচরাপাড়া থেকেও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বহু তৃণমূল কাউন্সিলর। এই তিনটি পুরসভার জন্যও নতুন প্রশাসক খুঁজছে রাজ্য। তৃণণূলের এই পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তুলেছে বিরোধী দল। তাদের কথায়, অনাস্থা এড়াতে চুপিসারে পেছনের দরজা দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।  

এবিষয়ে বিজেপির  রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) দাবি, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘুম ছুটিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শাসকদলের সঙ্গে বিরোধী পক্ষের ফারাক মাত্র ৩টি আসন। এর মধ্যেই বহু কাউন্সিলর যোগ দিয়েছে বিজেপি। ফলে, নিজেদের সম্মান বাঁচাতে এখন পেছনের দরজা দিয়ে লোক ঢোকাতে বাধ্য হচ্ছে তৃণমূল (Bengal Govt Appoints Administrator)। তাঁর আরও অভিযোগ, ফল ঘোষণার পর থেকেই তিন পুরসভায় ব্যাপক সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। 

Advertisement
Advertisement