সারা দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজ্যেও।এমনটাই দাবি তোলা হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। অথচ রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার দাবি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছুই নেই। তাঁর মতে, ''রাজ্যে প্রায় ১০ কোটি মানুষ বাস করেন, তার মধ্যে মাত্র ৬৬০ জন মানুষের শারীরিক অবস্থা গম্ভীর।''তিনি নিজেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, ''এটা কি অনেক বড়ো সংখ্যা?'' জবাবে তিনি নিজেই জানিয়েছেন, ''ইটা এমন কিছু বড়ো বিষয় নয়, আমার নিজেদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।পরিস্থিতি অনিয়ন্ত্রিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই।''
আজ রাজ্যে করোনা আপডেট ঘোষণা হওয়ার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে মুখ্যসচিব নবান্ন থেকে এমন বক্তব্য রাখনে।তবে আজ রেকর্ড পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে রোগীর সংখ্যা, ২১৯৮। গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ২৭ জন।১৫,৫৯৪ জন অসুস্থ সহ রোগীর মোট সংখ্যা হল ৪০,২০৯। এখন পর্যন্ত করোনার গ্রাসে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ১০৭৬।
নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ''যত বেশি টেস্ট করা হবে, তত বেশি করে রোগী ধরা পরবে।তাতে করে মানুষের মনে আরও বেশি করে ভয়ের জন্ম নেবে।'' তিনি আরও বলেন, ''এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে যে ১৪,৭০৯ জন করোনা রোগী আছেন তার মধ্যে ১০,০০০ জনের বেশি মানুষ উপসর্গহীন, যা মোট আক্রান্তের ৭২ শতাংশ। ২,২০০ জনের মধ্যে মৃদু সংক্রমণ রয়েছে। তবে গুরুতর সমস্যা রয়েছে ১,২৫০ জনের। আর ৬৬০ জনের অবস্থা খুবই আশঙ্কা জনক।অতি সহজেই সরকার তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, সুতরাং ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।''
তবে রাজ্যের মুখ্যসচিবের এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে দিল্লির স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে। সেখান থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃতের সংখ্যাও।তাঁদের মতে রাজ্যে প্রায় প্রতিদিন ১৬০০ করে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সেই সাথে টেস্ট নিয়েও অভিযোগ তোলা হয়।তাঁদের মতে, দেশে যে গতিতে টেস্ট করা হচ্ছে সেই তুলনায় খুবই ধীর গতিতে চলছে টেস্ট প্রক্রিয়া।