বেলেঘাটা আইডি থেকে গত ৪৮ ঘণ্টায় ৪ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ। (ফাইল ছবি)
কলকাতা: করোনা সংক্রমণ (Corona) নিয়ে তথ্য চাপছে না রাজ্য। শনিবার এই দাবি করলেন মুখ্যসচিব (Chief Secretary) রাজীব সিনহা। রাজ্যে (West Bengal) সংক্রমিত ও মৃতের সংখ্যা ঘিরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, "ইচ্ছে করেই সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।" এদিন এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন রাজীব সিনহা। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি আবেদন করেছেন, "করোনা প্রতিরোধে রাজ্য সরকারের উদ্যোগ নিয়ে প্রচার করুক সংবাদমাধ্যম।" করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর বর্ধিত হার ঘিরে সরকারি বিভিন্ন সূত্রের দাবি একাধিকবার নস্যাৎ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এই বিষয়ে সাম্প্রতিককালে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য মিলিয়েই সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ করতে পারবে সংবাদমাধ্যম, এমন নির্দেশ দিয়েছেন তিনি (Bengal CM)। করোনা প্রতিরোধে গঠিত রাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি বৃহস্পতিবার দাবি করেছিল, রাজ্যে মৃত ৭। তার কয়েকঘণ্টা পরেই সেই দাবি খারিজ করে মুখ্যসচিব ঘোষণা করেছিলেন মৃত ৩। বাকি যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মৃত্যুর সঠিক কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
"তালি বাজিয়ে, আকাশে টর্চ মেরে সমস্যার সমাধান হবে না", টুইটে কটাক্ষ রাহুল গান্ধির
সেদিন আবার রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর মৃত্যুর সংখ্যা ভিন্ন বলে দাবি করেছিল। এই টানাপোড়েনে প্রতিদিনের মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এর জেরেই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। বলা হয়েছে, সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখাতে চাইছে রাজ্য। সেই প্রেক্ষিতে এদিন মুখ্যসচিব বলেছেন, "সরকারি ওয়েবসাইটে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য তোলা হচ্ছে না মানে আমরা কিছু গোপন করছি। এটা একদম মনে করবেন না। আমাদের কর্তব্য মানুষের সামনে সেই তথ্য তুলে ধরা।" তাঁর আরও দাবি, "সংবাদ মাধ্যম সংক্রমিতদের বিদেশ সফরের ইতিহাস জানতে না চেয়ে বরং সরকারের নেওয়া উদ্যোগ প্রচারে জোর দিক। সেটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।" এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১১ জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে। ফলে রাজ্যে এখন মোট সংক্রমিত ৪৯। ২৬২৬ জনকে সরকারি পরিষেবায় কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে।
রাজ্যের উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে এক করোনা পজিটিভ তাবলিগ সদস্যের সন্ধান
জানা গিয়েছে, যে ১১ জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে, তাঁদের মধ্যে ৫ জন কালিম্পংয়ে মৃতের আত্মীয়। করোনা সংক্রমণের জেরে ৩০ মার্চ যার মৃত্যু হয়েছে। বেলেঘাটা আইডি থেকে গত ৪৮ ঘণ্টায় ৪ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ। মুখসচিব জানিয়েছেন, হলদিয়া বন্দরে কর্মরত কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের যে কর্মীর দেহে সংক্রমণ মিলেছে, তাঁর পরিবারকে কোয়ারান্টাইন করা হয়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)