Read in English
This Article is From Apr 29, 2020

চা, সিগারেটের দোকান খুলবে, তবে ভিড় করা যাবে না: ৪ মে থেকে পরিকল্পনা রাজ্যে

৪ মে থেকে রাজ্যের গ্রিন জোনে কারখানা, বাস, ট্যাক্সি ও কিছু কিছু দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
সিটিস Edited by

৪ মে-র পর রাজ্যের কিছু অঞ্চলে লকডাউন সামান্য শিথিল করা হতে পারে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

কলকাতা:

৩ মে দেশব্যাপী লকডাউন (Lockdown) শেষ হলে ৪ মে থেকে করোনায় (Coronavirus) রাজ্যের কম ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল বা গ্রিন জোনে কারখানা, বাস, ট্যাক্সি ও কিছু কিছু দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। এদিন একথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, রাজ্যের কিছু কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন সামান্য শিথিল করা হলেও মে মাসের শেষ পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন উঠছে না। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমাদের আরও কিছু দিন বাড়িতে থাকতে হবে। মাস্ক বাংলায় আবশ্যিক। করোনা ভাইরাস কবে যাবে, আজ না কাল আমরা জানি না। কোনও গবেষণা এ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারে ‌না। তিনি আরও বলেন, ‘‘কিন্তু সাধারণ ভাবে মনে হচ্ছে এটা শেষ হতে হতে মে-র শেষ বা জুন। এই সংযম আমাদের মে মাসের শেষ পর্যন্ত দেখাতেই হবে।'' 

বিশেষজ্ঞরা মে মাসের শেষ পর্যন্ত লকডাউনের পক্ষে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

লোকালয়ের একক দোকানগুলি খোলা হতে পারে। এর মধ্যে ইলেকট্রিকের দোকান, মোবাইল ফোনের রিচার্জের দোকান, চায়ের দোকান ও সিগারেটের দোকান রয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোথাও কোনও জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এর পাশাপাশি গ্রিন জোনে কারখানা ও নির্মাণকার্য আবার শুরু হতে চলেছে।

Advertisement

করোনা পজিটিভ, তারপর নেগেটিভ, আবারও পজিটিভ হয়ে মৃত্যু রাজ্যে

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ট্যাক্সি ও বাসও চলতে দেওয়া হবে। তবে শর্তসাপেক্ষে। বাসে ২০ জনের বেশি তোলা যাবে না। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে বাসের ভিতরে। এদিকে ট্যাক্সির ক্ষেত্রে তিনজনের বেশি যাত্রী থাকতে পারবেন না। মাস্ক সবার ক্ষেত্রেই আবশ্যিক।

Advertisement

তবে রেড জোনের ক্ষেত্রে কোনও ভাবেই যে লকডাউন তোলা হবে না, তা স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর এই চারটি জেলা রেড জোনের অন্তর্গত।

রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৫৫০ জন করোনায় আক্রান্ত বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। ২২ জন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিন‌ি।

Advertisement

অধিকাংশ সংক্রমণ, ৮৮ শতাংশই তিনটি জেলা থেকে হয়েছে বলে জা‌না গিয়েছে।

Advertisement