This Article is From Nov 12, 2018

রথযাত্রার প্রসঙ্গে তুলে লকেটকে কটাক্ষ ফিরহাদের, পাল্টা দিলীপ

বিজেপি নেত্রী লকেট  চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ  করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর মতে দেখতে ভাল লাগার জন্য  গলায়  লকেট পড়া হয়। সেই লকেট সংঘর্ষের কথা বললে তা  ভাল দেখায় না।

রথযাত্রার প্রসঙ্গে তুলে লকেটকে কটাক্ষ ফিরহাদের, পাল্টা  দিলীপ

 ডিসেম্বর মাসের পাঁচ তারিখ তারাপীঠ থেকে প্রথম দফার রথযাত্রার সূচনা  করবেন বিজেপি সভাপতি

হাইলাইটস

  • বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের ফিরহাদ
  • রথযাত্রা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে তরজায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেত্রী
  • ফিরহাদকে পাল্টা নিশানা করেছেন রাজ্য বিজেপি শাসিত দিলীপ ঘোষ
কলকাতা:

বিজেপি নেত্রী লকেট  চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ  করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর মতে দেখতে ভাল লাগার জন্য  গলায়  লকেট পড়া হয়। সেই লকেট সংঘর্ষের কথা বললে তা  ভাল দেখায় না। এর আগে  বিজেপির প্রস্তাবিত রথযাত্রা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে তরজায় জড়িয়ে পড়েন  বিজেপি  নেত্রী। সে প্রসঙ্গ  তুলে  ফিরহাদ বলেন, আরাম  করার জন্য  বিজেপি রথযাত্রা করছে।  এসবের কোনও  প্রভাব বাংলায় পড়বে  না, অন্য কোথাও পড়তে  পারে। বাংলায় এসব রথ  চলে না। এরপরই বিজেপি নেত্রীর উদ্দেশে  কটাক্ষ ছুড়ে দেন  রাজ্যের পুরমন্ত্রী ও তৃণমূলের এই শীর্ষ নেতা। ফিরহাদকে পাল্টা  নিশানা করেছেন রাজ্য  বিজেপি শাসিত  দিলীপ ঘোষ।

সাংবাদিকদের  তিনি জানান, বিজেপির রথ যাত্রা যদি  আরাম  যাত্রা-ই  হয় তাহলে তৃণমূল এত চিন্তিত কেন হচ্ছে? কয়েকদিন আফে সিপিএম জ্যাঠা করল। তখন কেউ  কোনও মন্তব্য করেনি,  কোনও আলোচনাই হয়নি। আসলে  প্রতিদিন বিজেপির শক্তি বাড়ছে বলেই তৃণমূল এ ধরনের কথা বলছে। পাশাপাশি খড়গপুর কেন্দ্রের বিধায়ক জানান নির্দিষ্ট সময় মতো নির্দিষ্ট রুট  দিয়েই চলবে রথ। কেউ বাধা  দেওয়ার চেষ্টা করলে বিজেপি কর্মীরা  তার উত্তর দেবেন।  ডিসেম্বর মাসের পাঁচ তারিখ তারাপীঠ থেকে প্রথম দফার রথযাত্রার সূচনা  করবেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। পরের দুটি রথযাত্রার সূচনা হবে দিন দুয়েক পরে। কেন্দ্রের মোদী সরকারের সাফল্য তুলে  ধরা  থেকে  শুরু করে একাধিক লক্ষ্য নিয়ে রথযাত্রার  আয়োজন করছে  বিজেপি। তাতে অংশ নিতে  কেন্দ্রীয় নেতা – মন্ত্রীদের পাশাপাশি কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও নিয়ে আসার কথা  ভাবা হচ্ছে। তালিকায় থাকতে পারেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। অন্য সমস্ত  ইস্যুলে পেছেন ফেলে  প্রচারের মুখ্য বিষয় হতে চলেছে এনআরসি। এব্যাপারে প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয়  সরকারের সমালোচনায় সরব তৃণমূল। দল নেত্রী মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সবাই  প্রকাশ্যেই  এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। অসমের পরিস্থিতি দেখতে দলীয় প্রতিনিধিদেরও পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া বিজেপি নেতাদের আক্রমণও করে চলেছেন নিরন্তর । আর এবার সেই এনআরসিকে হাতিয়ার করেই পথে নামতে  চলেছে বিজেপি।

.