This Article is From Apr 11, 2020

লকডাউনে গান ভাণ্ডার উপুড় ওস্তাদ রশিদ খানের, সেই পথে বাংলার বাকি শিল্পীরাও

শরীরে সংক্রমণের বাসা। মনে ভয়ের। এমন সাঁড়াশি চাপে, মানব সভ্যতা, অন্তরাত্মা মুক্তি পাবে কী করে? শিল্পী বলেন, ‘গানই সর্বশ্রেষ্ঠ সাধনা’।

Advertisement
বিনোদন Edited by (with inputs from PTI)

গানই সর্বশ্রেষ্ঠ সাধনা

কলকাতা:

শরীরে সংক্রমণের বাসা। মনে ভয়ের। এমন সাঁড়াশি চাপে, মানব সভ্যতা, অন্তরাত্মা মুক্তি পাবে কী করে? শিল্পী বলেন, ‘গানই সর্বশ্রেষ্ঠ সাধনা'। যার স্রোতে স্নান সারলে মনে জ্বলে ওঠে আশার আলো। ইদানিং, চিকিৎসার জন্যও বহু চিকিৎসক ব্যবহার করেন মিউজিক থেরাপি। তাকেই ফের শক্ত করে আঁকড়ে ধরলেন ওস্তাদ রশিদ খান, নারায়ণ বাউলের মতো খ্যাতনামা শিল্পীরা (Bengal musicians)। লকডাউনে (lockdown) রাজ্যবাসীর মনে শুভ চিন্তা, শক্তি জাগাতে ঘরে বসেই তাঁরা শুনিয়েছেন অসাধারণ কিছু গান।

করোনা ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ লক্ষ টাকার অনুদান গিল্ডের

সম্প্রতি, ওস্তাদজি তাঁর ছেলে আরমানকে নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে অনলাইন '' ভজন '' অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। একই ভাবে বীরভূম জেলা 'বাউল' সম্প্রদায় করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গান বেঁধে গেয়ে শ্রোতাদের শুনিয়েছেন সোশ্যালেই। এভাবেই বাংলার শিল্পীরা এককাট্টা হয়ে গানের স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে চলেছেন গানপাগলদের।

  .  

Advertisement

ঘরোয়া মজলিশে তাঁরা তিনটি ভজন--- ''ধীরে ধীরে রে মন'', ''ইয়ে আন্ধিয়ারা মিট জায়েগা'' এবং ''সুবহ হো সাম হো তেরা নাম জপু'' শুনিয়েছেন। পরে সংবাদমাধ্যমকে ওস্তাদজি জানান, সঙ্গীত সব ব্যথার উপশম। গানের শক্তি দিয়ে সব ভয়কে জয় করা যায়।

পাশাপাশি, বীরভূম জেলার খয়রাশোলের নারায়ণ বাউল এবং শান্তিনিকেতনের আনন্দ খ্যাপা তাঁদের বাঁধা গান দিয়ে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করেছেন। এবং সবাইকে এক হয়ে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন। তাঁদের গানগুলি সোশ্যালে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। দুই শিল্পীরই দাবি, "বাউল গান জনগণের কাছে সহজে বার্তা পাঠাতে পারে। এবং সচেতনতা তৈরি করতে পারে। কারণ, এই গানের ভাষা ভীষণ সহজ সরল।"

Advertisement

‘সাবধানতা' আর আশার বাণী ব্রততীর, ‘নাগরিকপঞ্জির নীতিপুলিশেরা কোথায়'? প্রশ্ন নচিকেতার

রশিদ খানের ভজন নিয়ে কলকাতার নাখোদা মসজিদের ইমাম এবং সোদপুর শ্রীচৈতন্য মঠের মুখপাত্র জানিয়েছেন, "কোনও শিল্পী যখন কোনও ভক্তিমূলক গান গান, সেটি কীর্তন, ভজন, কাওয়ালি বা যা-ই হোক, অন্তরাত্মাকেই শেষপর্যন্ত স্পর্শ করে।"



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement