দিনপ্রতি এক লক্ষ নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। (ফাইল)
কলকাতা: দিনপ্রতি এক লক্ষ নমুনা পরীক্ষার তাগিদে অত্যাধুনিক যন্ত্রের বরাত দিয়েছে নবান্ন। ১৫ অগাস্টের মধ্যে সুইৎজারল্যান্ড থেকে সেই যন্ত্র স্বাস্থ্য ভবনে চলে আসবে, এমনটাই নবান্ন সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে এই যন্ত্র পাঁচটি আছে। একটা যন্ত্র ব্যবহার করছে কলকাতার নাইসেড। ৬৮০০/৮৮০০ সিস্টেমে নমুনা পরীক্ষা করবে এই যন্ত্র। এই যন্ত্র দিনপিছু চার হাজার নমুনা পরীক্ষা করতে পারে। অর্থাৎ রাজ্যের বরাত হাতে আসলে অতিরিক্ত আট হাজার নমুনা একদিনে করা যাবে (Covid-19 test in Bengal)।
রাজ্যজুড়ে এখন প্রতিদিন ৫০টি ল্যাবে ১০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই মেশিনের দাম তিন কোটি টাকা। একটা মেশিনে ৫০ হাজার টেস্ট কিট থাকে। ফলে এই যন্ত্র কার্যকরী হলে অনেক কমবে নমুনা পরীক্ষার খরচ, এমনটাই সূত্রের খবর।
এই যন্ত্রের বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, স্বাস্থ্য দফতরের কয়েকজন এই যন্ত্রের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল কয়েকজন কর্মী আছে নাইসেডে। তাঁরাও কোবাস সিস্টেম সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। পাশাপাশি ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন কয়েকজন।
এদিকে, রাজ্যে প্লাজমা ব্যাংক তৈরি হলেও অভাব প্লাজমার। পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে সংক্রমণ মুক্ত কমবেশি ১৭ হাজার মানুষ। কিন্তু স্বেচ্ছায় প্লাজমা দিতে এগিয়ে এসেছেন মাত্র ১৫ জন। ফলে সংক্রমিতদের দেহে প্লাজমা থেরাপির উদ্যোগ বাধাপ্রাপ্ত। এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, এযাবৎকাল যাঁরা প্লাজমা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকর্মী। কিন্তু সেই দান অপ্রতুল। মে'র দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্লাজমা থেরাপি চালু হলেও, সেভাবে উদ্যোগী নয় দাতারা। যদিও প্লাজমা ব্যাংক ঘিরে আশার আলো দেখছেন গবেষক-চিকিৎসকরা। সায়রী পাইন নামে বছর ২৫-এর এক স্বাস্থ্যকর্মী সম্প্রতি প্লাজমা দান করেছেন। তাঁর মন্তব্য, "অশীতিপর ঠাকুমা আমার অনুপ্রেরণা। এই বয়সেও করোনার সঙ্গে লড়ে তিনি সুস্থ। ঠাকুমা আমাকে বলেছেন, যদি তোর প্লাজায় একজনের প্রাণ বাঁচে তাহলে দিতে ক্ষতি কী। আমার বয়স থাকলে আমিও দিতাম" জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজের নার্স সায়রী। সেই হাসপাতালের ইমিউনো-হেমাটোলজি বিভাগে কর্মরত সায়রী। এখানেই রাজ্য সরকার তৈরি করেছে প্লাজমা ব্যাঙ্ক।
এই বিভাগ সিএসআইআর এবং আইআইসিবি'র সঙ্গে যার ভাবে প্লাজমা ট্রায়াল চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৪০ জন রোগীর দেহে এই ট্রায়াল চলেছে। অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে এমনটাই দাবি।