সন্ত্রাস প্রসঙ্গে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা: পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে সংঘর্ষ চলছেই। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়াচ্ছে অশান্তি। ঘটছে মৃত্যুর ঘটনাও। উত্তর চব্বিশ পরগনার আমডাঙায় মঙ্গলবার তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তাতে তিন জনের মৃত্যু হয়। আহত হন পনেরো জন। তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে সিপিএম। জেলা সভাপতি তথা রাজ্য মন্ত্রিসভার এই সদস্য দাবি করেন আহতরা সকলেই তৃণমূল সমর্থক।ঘটনায় দশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এরই মধ্যে উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গায় শাসক তৃণমূলের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষ বাধে। শুরু হয় বোমা- গুলির লড়াই। তাতে আহত হলেন পাঁচ পুলিশ কর্মী সহ মোট 30 জন। অন্যদিকে, সংঘর্ষ হয় ইটাহারেও। অভিযোগ বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে বাধা দেয় তৃণমূল। প্রতিবাদ করে বিজেপি। বচসা থেকে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মালদা থেকে শুরু করে পুরুলিয়ার বিভিন্ন জায়গাতেও শুরু হয় সংঘর্ষ।
সন্ত্রাস প্রসঙ্গে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির বিরুদ্ধে খুনের রাজনীতি করার অভিযোগ এনে তাঁর দাবি জঙ্গলমহলে আগে যারা সিপিএমের হার্মাদ ছিল তারাই এখন বিজেপির জল্লাদ হয়েছে। তাদের সমর্থনেই বিজেপি জিতেছে।’ শুধু তাই নয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিততে বিজেপি বিএসএফের সাহায্যও নিয়েছে বলে দাবি করেন নেত্রী। তাঁকে পাল্টা দিয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতির দাবি তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে বলে এ ধরনের কথা বলছেন। সন্ত্রাস প্রসঙ্গে শাসক শিবিরকে নিশানা করেছে সিপিএমও।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)