বিজেপিতে যোগদানের দুসপ্তাহের মধ্যেই নতুন দল সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (ফাইল)
কলকাতা: বিজেপিতে যোগদানের দুসপ্তাহের মধ্যেই নতুন দল সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। তিনি বিজেপি ছাড়ছেন বলেও জল্পনা রটে যায়, এরমধ্যেই বিজেপি নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy) জানিয়ে দিলেন, “এখনকার মতো” বিজেপি ছাড়ছেন না শোভন চট্টোপাধ্যায়। ১৪ অগস্ট বিজেপিতে যোগদান করেন চারবারের তৃণমূল বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। শনিবার তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee) বলেন, “নিয়মিত অপমানিত” হওয়ায় রাস্তা খুঁজতে চান তিনি। বিজেপি সূত্রের খবর, সোমবার রাতে মুকুল রায়ের বাড়িতে দীর্ঘ বৈঠক করেন শোভন-বৈশাখী। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুকুল রায় বলেন, “দলীয় নেতৃত্ব আমায় শোভন এবং বৈশাখীর সঙ্গে বৈঠক করতে বলেছিল, এবং আমরা বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলি...কিছু ভুল বোঝবুঝি হচ্ছে”।
শোভন চট্টোপাধ্যায় “অপমানিত”, বিজেপি ছাড়তে চান, বললেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়
মুকুল রায় আরও বলেন, “সবকিছু চিহ্নিত করা হয়েছে, এবং আমি পরিস্কার করে বলছি, তাঁরা খুব ভালভাবেই দলের সঙ্গে রয়েছেন। এখনকার মতো তাঁরা দলেই থাকছেন”।
শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, বড়দাদা মুকুল রায়ের তিনি সসমস্ত কিছু আলোচনা করেছেন তিনি।
শনিবার বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, দলে যোগদানের পর থেকে কোনও কারণ ছাড়াই “নিয়মিতভাবে তাঁদের অপমানিত এবং অপদস্থ করা হচ্ছে”। গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিজেপির জাতীয় সম্পাদক তথা রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে দেখা করে দল ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘পুলিশি নিরাপত্তা'র আর্জি জানালেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়
দুবারের বিজেপি বিধায়ক দেবশ্রী রায়ের বিজেপিতে যোগদানের ইচ্ছেপ্রকাশ নিয়ে তাল কাটে। ১৪ অগস্ট দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে যান দেবশ্রী রায়। তিনিও বিজেপিতে যোগদান করতে পারবেন, রাজ্যের এক বিজেপির এই আশ্বাসে তিনি দিল্লি যান। পরে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আপত্তিতে তা আটকে যায়। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, দেবশ্রী রায়কে নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই।
একসময়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যার জন্য, গত বছরের নভেম্বরে তাঁকে কলকাতা পুরনিগমের মেয়র এবং রাজ্য মন্ত্রিসভার পদ থকে সরানো হয়।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)