This Article is From Jun 08, 2018

পশ্চিমবঙ্গের স্কুলের প্রধানশিক্ষককে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস করার দায়ে সাসপেন্ড করা হল

একজন শিক্ষক আবার প্রধান শিক্ষকের নির্ধারিত সময়ের আগে প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের সিল খোলার ঘটনার ভিডিও-ও করে রেখেছেন।  

পশ্চিমবঙ্গের স্কুলের প্রধানশিক্ষককে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস করার দায়ে সাসপেন্ড করা হল

অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে (প্রতীকী)

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার রাজ্য সরকারের অধীনস্থ এক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড করা হল।

মার্চ মাসে ময়নাগুড়ির সুভাষনগর হাই স্কুলের দুই সহ-শিক্ষক, স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিদয়াল রায়ের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের আগে প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের সিল খুলে নির্ধারিত বিষয়ের শিক্ষকদের দিয়ে উত্তরপত্র তৈরি করিয়ে ছাত্রদের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ করলে বিষয়টি সকলের নজরে আসে।  

একজন শিক্ষক আবার প্রধান শিক্ষকের নির্ধারিত সময়ের আগে প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের সিল খোলার ঘটনার ভিডিও-ও করে রেখেছেন।  

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, “আমরা ওই প্রধানশিক্ষককে সাসপেন্ড করেছি এবং ওই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক বিশ্বজিৎ রায়, যিনি স্ট্রং রুমে ভিডিও করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছি।“  

মার্চ মাসে এই ঘটনা সামনে আসার পর পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছিল, যার রিপোর্ট কয়েকদিন আগে তাদের হাতে আসে।

তদন্তে জানা গেছে, মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন প্রতিদিনের পরীক্ষায় নির্ধারিত সময়ের আগে সিল করা প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হয়েছে।

পর্ষদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, যে সমস্ত শিক্ষক এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন তাদের সকলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মিস্টার গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানান, “অ্যাডিশনাল ভেনু সুপারভাইজারকেও সমস্যায় পড়তে হবে এবং ইতিহাসের শিক্ষককে ভুল বয়ান দেওয়ার জন্য কড়া ভাষায় ধমক দেওয়া হয়েছে”।

তাঁর মতে, ওই স্কুলের সাব-ইনস্পেক্টরের বয়ানও অসংলগ্ন।

শিক্ষা দপ্তর থেকে ভৌমিক বাবুকে ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস’-এর অভিযোগ করার পর তিনি উপযুক্ত প্রমাণ না দিতে পারায় শো-কজ করা হয়েছিল।

এই প্রসঙ্গে রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, “আমাদের দপ্তর থেকে সমস্ত রিপোর্টের তদন্ত করার পর পর্ষদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি পর্ষদকে জানিয়েছি, মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর এই ঘটনার উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে”।  

তিনি আরও জানান, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রধান শিক্ষক এই ঘটনার দায় এড়িয়ে যেতে পারবেন না”।

(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
.