কলকাতা: এতদিন ছিল তৃণমূল বনাম বিজেপি। এবার সামান্য দিশা বদলে উঠে এসেছে ‘জয় শ্রী রাম' বনাম ‘জয় হিন্দ' দ্বন্দ্ব। আর সেই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করেই নয়া ফরমান জারি করলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার (Bengal Speaker) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপক্ষের বিধায়কদেরই (MLAs) তাঁর নির্দেশ, বিধানসভার কোনও অধিবেশনে দেওয়া যাবে না এই ধরনের স্লোগান। কারণ, এই ধরনের বিশেষ স্লোগান সংবিধান বহির্ভূত। এই নিয়ে বিমানবাবু সমস্ত দলের বিধায়ক ও শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে নিজ কক্ষে বৈঠকও করেন। তারপরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) জানান, আগামী দিনে এই ধরনের ধ্বনি বা স্লোগান না শোনাটাই বাঞ্ছনীয়। কারণ, এগুলো পুরোটাই সংবিধান বিরোধী। যদিও স্পিকারের এই নির্দেশ অবজ্ঞা করে বিজেপি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধ্বনি তাঁরা আগামী দিনেও দেবেন।
ফোর্ট উইলিয়ামে সেনাকর্মীর হাতেই ধর্ষিতা সহকর্মীর নাবালিকা সন্তান; অভিযুক্তকে গ্রেফতার
ঘটনার সূত্রপাত চলতি সপ্তাহেই। সপ্তাহের শুরুতে উপনির্বাচনে জিতে আসা আট নতুন বিধায়ককে বিধানসভায় শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছিলেন স্পিকার (Biman Banerjee) । সেখানেই হাবিবপুরের বিজেপি বিধায়ক জয়েল মুর্মু শপথ পাঠের পরে বলে ওঠেন জয় শ্রীরাম। তখনই তাঁকে বাধা দেন স্পিকার। বলেন, এই ধরনের স্লোগান ফের তাঁর মুখে শুনতে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন তিনি। এরপরেই উলুবেড়িয়া পূর্ব-র বিধায়ক ইদ্রিশ আলি শপথ পাঠ করেই বলে ওঠেন জয় হিন্দ! সঙ্গে সঙ্গে তিনিও ধমক খান বিমানবাবুর।
স্লোগান বন্ধের নির্দেশ দিতেই নিমেষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ তিগ্গা জানান, আমরা এই স্লোগান দেবই। এবং শুধু আজ নয়, আগামীকাল থেকে চলতি বছরের যে বাজেট অধিবেশন বসবে সেখানেও আমরা গলা ছেড়ে বলব জয় শ্রী রাম।
WBJEE Results 2019: ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্টের ফল ২০ জুন, কীভাবে জানবেন নিজের র্যাঙ্কিং?
একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, এভাবেই বিরোধীদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করতে চাইছে শাসকদল। কিন্তু আমরা কোনোমতেই তা হতে দেব না। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার লোকসভায় সাংসদেরা শপথবাক্য পাঠের পরেও বিজেপি সাংসদেরা সমস্বরে বলে ওঠেন জয় শ্রীরাম। (Jai Shri Ram)।