This Article is From Jun 12, 2019

মমতার নেতৃত্বে “মিনি পাকিস্তান” হয়ে গেছে বাংলা, বলল জেডিউ

নীতিশ কুমার (Nitish Kumar) সিদ্ধান্ত নেন, জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, এবং হরিয়ানায় লড়াই করবে তাঁর দল (JDU)।

মমতার নেতৃত্বে “মিনি পাকিস্তান” হয়ে গেছে বাংলা, বলল জেডিউ
পটনা:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ “মিনি পাকিস্তানে”(mini Pakistan) পরিণত হয়েছে, যেখান থেকে “রোহিঙ্গারা” বিহারিদের তাড়িয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করল বিহারে এনডিএ-সরকারের মূল দল জেডিইউ (JDU)। চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে একলা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নীতিশ কুমারের(Nitish Kumar) দল জেডিইউ (JDU), সেই কারণে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশংসাও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারমধ্যেই এই মন্তব্য করলেন জেডিইউ নেতা। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে জেডিইউ-এর (JDU) মুখপাত্র অজয় অলোক বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে যা হচ্ছে, তা গভীর চিন্তার বিষয়। এটা আমি দীর্ঘসময় ধরে দেখছি। আমি বুঝতে পারছিনা, তিনি কেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিলেন এবং প্রশংসা করলেন”। তাঁর কথায়, “হয়তো জেডিইউ এনডিএ-র সঙ্গে নয়, চার রাজ্যে একা লড়ছে বলে তিনি খুশি”।

সন্দেশখালির ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করল বিজেপি

জেডিইউ(JDU) এর মুখপাত্র বলেন, “কিন্তু তাঁর এই পদক্ষেপ তাঁর ভুলগুলি ঢাকতে পারবে না। তাঁর রাজ্যকে মিনি পাকিস্তান(mini Pakistan) হওয়ার মতো বিপদ থেকে তাঁকে রক্ষা করতে ব্যবস্থা নিতে হবে”। জেডিইউ-এর নেতা আরও বলেন, “তাঁর ধন্যবাদ জ্ঞাপন আমাদের ভুলিয়ে দেবে না, যে পশ্চিমবঙ্গে বিহারিদের নিগ্রহ করা হচ্ছে এবং রাজ্য ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে”। রবিবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার(Nitish Kumar) সিদ্ধান্ত নেন, জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, এবং হরিয়ানায় লড়াই করবে তাঁর দল (JDU)। বিজেপির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তাঁর দলের সংঘাত চরমে। এই পরিস্থিতিতে নীতিশ কুমারের বিবৃতির পরেই সাংবাদমাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি নীতিশজীর বিবৃতি জানতে পেরেছি, যে তিনি বিহারের বাইরে এনডিএর সঙ্গে নেই।আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাব। আমি তাঁকে স্বাগত জানাই”।

সন্দেশখালির ঘটনায় ঘৃতাহুতির কাজ করেছে মমতার বক্তব্য, অভিযোগ বিজেপির

বিস্তারিত ব্যাখ্যা না করে জেডিইউ(JDU) নেতা অজয় অলোক বলেন, “মমতা দিদির মনে রাখা উচিত, তাঁর সামনেই বিহারিদের তাঁর রাজ্য থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এবং আমাদের লোকদের যারা রাজ্য থেকে তাড়িয়েছে, তারা বাঙালি নয়, তারা রোহিঙ্গা”। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় যাওয়ার সময় কয়েকজন বিজেপি সমর্থক “জয় শ্রীরাম” স্লোগান দেন। তাঁদের তীব্র ভর্ৎসনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্লোগান দেওয়া যুবকদের বহিরাগত বলে আখ্যা দেন মুখ্যমন্ত্রী।

দিন দুয়েক আগে, কলকাতা থেকে বাসে পটনা যাওয়ার পথে, বর্ধমানে একটি হোটেলের মালিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে যাত্রীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নতা সুশীল মোদী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যের (Mamata Banerjee) প্রতি নরম অবস্থানে রয়েছে বিহারের বিরোধী দল আরজেডি। জেডিইউ (JDU) নেতার মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তারা। দলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা জাতীয়মুখপাত্র মনোজ ঝা বলেন, “এটা অশ্রাব্য। গতকয়েকবছর ধরে আমরা বলে আসছি, কেন্দ্রের শাসকদল বাংলায় বিভাজনের মতো আচরণ করছে”। তাঁর কথায়, “জেডিইউ-এর এই ধরণের ভিত্তিহীন এবং অপমানজনক মন্তব্য আসলে বাস্তব ও ধারণার বশবর্তী হওয়ার মধ্যে পার্থক্য করে দেয়”।

.