This Article is From Aug 13, 2018

পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীদের ভাগ্য ঝুলে রইল

প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির  ডিভিশন বেঞ্চ এদিন কোনও নির্দেশ দেয়নি।

Advertisement
Kolkata

বাংলার নবম পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে একাধিক বার মামলা হয়েছে।

নিউ দিল্লি :

পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা লড়াইতে জয়ী প্রার্থীদের ব্যাপারে সোমবারও কোনও সিদ্ধান্ত হল না। শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টে এদিন রাজ্য সরকার ওই প্রার্থীদের উপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে অনুরোধ করে। পাশাপাশি মামলার আবেদনকারীদের আইনজীবী নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি করেন। কিন্তু প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির  ডিভিশন বেঞ্চ এদিন কোনও নির্দেশ দেয়নি। আদালত সূত্রে খবর মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে।

শুনানির সময় রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী বিকাশ সিং আদালতকে বলেন বিজেপি এবং সিপিএম নিতান্তই রাজনৈতিক স্বার্থে মামলা করেছে। এরপর অর্থ কমিশনের রিপোর্ট পেশ করে তিনি বলেন  পঞ্চায়েত  নির্বাচিত না হলে, উন্নয়নের জন্য টাকা দেওয়া যায় না। আর তাই তিবি দাবি করেন বিনা লড়াইতে জয়ী প্রার্থীদের উপর থাকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক।

বাংলার নবম পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে একাধিক বার মামলা হয়েছে। শেষমেশ ভোটের মুখে সুপ্রিম কোর্টে মামলা ওঠে। দীর্ঘ শুনানির পর  আদালত দুটি নির্দেশ দেয়। তার মধ্যে একটিতে বলা হয় অনলাইনে যাঁরা মনোনয়ন দাখিল করেছেন তাঁরা ভোটে অংশ নিতে পারবেন না। অন্য নির্দেশটিতে বলা হয় বিনা লড়াইতে যাঁদের জয় হয়েছে তাঁদের জয়ী বলে ঘোষণা করতে পারবে না নির্বাচন কমিশন। আর তাই বোর্ডও গড়তে পারবেন না এ সমস্ত জয়ী প্রার্থীরা। এই দ্বিতীয় নির্দেশ নিয়েই বেশি জলঘোলা হয়েছে।

Advertisement

এদিনের শুনানিতে কমিশনের হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী অমরেন্দ্র শরণ। তিনিও মামালার নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি খুঁজে পেয়েছেন। তাছাড়া অন্য কয়েকটি রাজ্যের উদাহারণ পেশ করে তিনি বলেন সেখানেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের ঘটনা ঘটে। তাঁর আরও দাবি যাঁরা ‘ভোটে লড়তে চেয়ে পারলেন না’ মামলাটা তাঁরা করেননি। তখন ডিভিশন বেঞ্চ বলে ভয়ের কারণে এমনটা তাঁরা নাও করে থাকতে পারেন। উত্তরে কমিশনের আইনজীবী বলে এটা অনুমান মাত্র। অন্যদিকে  মামলার আবেদনকারীদের আইনজীবী পি এস পাটওয়ালি  নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানান।    
 

Advertisement