This Article is From Jun 16, 2019

রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা, দুই জেলায় সংঘর্ষে মৃত ১

পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, শনিবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement
Kolkata

সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে  রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে এখনও উত্তেজনা রয়েছে (ফাইল ছবি)

কল্যাণী:

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে এখনও উত্তেজনা রয়েছে, তারমধ্যেই, হুগলিতে রাজনৈতিক সংঘর্ষে একজনের  মৃত্যু হয়েছে, এবং কয়েকজনের ওপর রড, বাঁশ, দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, শনিবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হুগলির খানাকুল পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল (TMC) সদস্য মনোরঞ্জন পাত্র দলীয় কার্যালয়ের বাইরে বসেছিলেন, সেই সময় তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় মৃত্যু হয় মনরঞ্জন পাত্রের, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। হুগলি জেলা পুলিশ সুপার সুখেন্দু হিরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে, কয়েকজন বিজেপি (BJP) সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত গ্রেফতার ছত্তিশগড়ে

নিহতের ভাই সন্দীপ পাত্র বলেন, “আমার দাদাকে আগেও খুন করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে জানত পুলিশ”। রবিবার নিহত তৃণমূল (TMC) নেতা, তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বাড়িতে যান যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।তাঁর দাবি, আগের সিপিআইএম কর্মীরাই এখন বিজেপিতে ঢুকে এই হামলা চালিয়েছে। বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আসামীদের গ্রেফতার করা হবে”।

Advertisement

বহরমপুরে সন্ত্রাসে নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের তিন সদস্য খুন!

অভিযোগ অস্বীকার করে এই ঘটনাকে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্ব্ন্দ্ব বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা বিমান ঘোষ। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে কোনও বিজেপি কর্মী, সমর্থক জড়িত নন বলেও দাবি করেন তিনি।

Advertisement

অন্যদিকে, নদিয়ায় বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষে ভাঙচুর করা হয়েছে একটি চার চাকার গাড়ি, এবং বাইক। দলের আহত এক কর্মীকে দেখে ফিরছিলেন কল্যাণী শহর তৃণমূলের (TMC) সভাপতি অরূপ মুখোপাধ্যায় সহ দলের অন্যান্য নেতা কর্মীরা। সেই সময় জোগেশ কলোনি এলাকায় তাঁদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির(BJP) বিরুদ্ধে। অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রায় ৪০-৫০ জন বিজেপি কর্মী আমাদের ওপর রড, বাঁশ নিয়ে হামলা চালায়। কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় তারা, চারটি বাইক এবং দুটি চার চাকার গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে তারা”।

স্থানীয় বিজেপি(BJP) নেতা সুখদেব সরকার বলেন, “যেহেতু সাধারণ মানুষ এখন বিজেপিতে যোগদান করছেন, সেই কারণে, তাঁদের ভয় দেখাতে চাইছে তৃণমূলের (TMC) লোকেরা। যখন মানুষ তাঁদের ধাওয়া করে, পালিয়ে যায় তৃণমূল কর্মীরা, তবে থেকে যায় তাদের গাড়ি ও বাইক। সেগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা”। পুলিশের বিরুদ্ধে পাঁচজন নির্দোষ ব্যক্তিকে গ্রেফতারের অভিযোগ করে তাঁদের মুক্তির দাবি তুলেছেন তিনি।

Advertisement