কলকাতা: বৃহস্পতিবার রাজভবনে রাজ্যর চার প্রধান দলের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। বৈঠকর পর, রাজ্য বিজেপির (BJP) সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্যপাল, তবে তৃণমূলের (TMC) তরফে বৈঠকে উপস্থিতি থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, দলের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। এর আগে, আইনশৃ্ঙ্খলা নিয়ে রাজ্যপালের ডাকা সর্বদল বৈঠকের বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি বৈঠকে যোগদান করতে অস্বীকার করেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির ইঙ্গিতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee) বলেন, “চা পানের জন্য বা শান্তি বৈঠকের জন্য রাজ্যপাল কাউকে ডাকতেই পারেন”।তাঁর কথায়, “সেই কারণে, আমি সেখানে দলের কোনও প্রতিনিধি পাঠাব। তিনিই সেখানে যাবেন, এক কাপ চা খেয়ে চলে আসবেন”।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন রাজ্যপাল
বিজেপি (BJP) নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, এই বৈঠকই প্রমাণ করে রাজ্যের আইনশৃ্ঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। তাঁর কথায়, “বৈঠকে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্যপাল। আমরা বলেছি, সেই সমস্ত প্রস্তাব মেনে নিতে আমরা প্রস্তুত। যদিও, তৃণমূলের বন্ধু বলেছেন, তিনি দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন”।লোকসভা ভোটের আবহে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। দিন যতই এগিয়েছে সংঘাত তীব্রতর হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদলের মধ্যে। এমনকী, ভোটগ্রহণ পর্বেও অশান্ত হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত, প্রাণহানিও হয়েছে। ফলাফলের পরেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ঘটনা (Sandeshkhali clashes) কেন্দ্র করে পদ্ম ও ঘাসফুল শিবিরের মধ্যে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বিজেপির লালবাজার অভিযানে ধুন্ধুমার: বিজেপি কর্মীদের উপর পুলিশের জলকামান, লাঠিচার্জ
গত শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali clashes) দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় তিনজনের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট হাসপাতালে। সেখানেই দুজনকে তাদের দলের কর্মী বলে দাবি করে বিজেপি, তৃতীয়জন তাদের কর্মী বলে দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস।নিহত তৃতীয় ব্যক্তি কায়ুম মোল্লা, তাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে দাবি করে তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিকে, সন্দেশখালি(Sandeshkhali clashes) এবং অন্যান্য জায়গায় তাদের কর্মীরা আত্রান্ত এবং নিহত হচ্ছেন, এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার লালবাজার অভিযান চালায় বিজেপি। সেই অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। লাঠিচার্জ, জল কামানের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। অন্যদিকে, পাথর ছোঁড়ে বিক্ষোভকারীরা।