রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম আসবে নাগরিক আইন: দিলীপ ঘোষ (ফাইল ছবি)
কলকাতা: 'যতই Citizenship Law বিরোধিতা করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসকদল, এই আইন চালু হবে পশ্চিমবঙ্গেও। এবং নাগরিকত্ব আইনের আওতাভুক্ত হিসেবে "প্রথম রাজ্য" হতে চলেছে বাংলা', এমনটাই ঘোষণা করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শুক্রবার কেরল-পাঞ্জাব সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মতোই নাগরিক আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও। রাজ্য জুড়ে বহু প্রতিবাদ মিছিল পথে নামে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে কলকাতায় মহা মিছিলের ডাক দিলেন মমতা
এই প্রসঙ্গে, শুধুই প্রতিবাদ করে থেমে থাকেননি মমতা। রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “কোনও পরিস্থিতিতে”ই এই বিল তাঁর রাজ্যে কার্যকর হতে দেবেন না। পাশাপাশি ঘোষণা করেন একাধিক সভা করা হবে নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে। “সংসদে পাস হলেও আমরা নাগরিকত্ব বিল বাংলায় কার্যকর হতে দেব না” দাবি তাঁর। একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অ-বিজেপি রাজ্যগুলিতে জোর করে “অসাংবিধানিক” আইন চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি।
মমতার এই অভিযোগের প্রত্যুত্তরে দিলীপ বলেন, 'এর আগে মমতা Article 37০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং নৈরাজ্যবাদের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে কার্যকর হয়েছে ৩৭০ ধারা। একই ভাবে নতুন নাগরিকত্ব আইনটিও রাজ্যে প্রয়োগ করবে বিজেপি সরকার।' তিনি বলেন, কেন নাগরিক আইনের বিরোধিতা মুখ্যমন্ত্রী করছেন সেই বিষয়টি সবার আগে স্পষ্ট হওয়া দরকার। প্রশ্নও তোলেন, তবে কি ভোট হারানোর ভয়ে এই আইন রাজ্যে কার্যকর হতে দিতে চাইছেন না মমতা? তাই যদি হয় তবে এক্ষেত্রে তাঁকে এবং শাসকদলকে মাথায় রাখতে হবে, তাঁরা চান বা না চান, কেন্দ্র খুব শিগগিরিই এই আইন সবার প্রথমে চালু করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু শরণার্থীরা এই আইনের অপেক্ষায় রয়েছেন। এটা তাঁদের মৌলিক অধিকার। তাঁদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করতে চান তিনি কোন অধিকারে!
নাগরিকত্ব আইন আটকানোর ক্ষমতা নেই রাজ্যের, জানাল সরকারি সূত্র
দিলীপ ঘোষের মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়েছেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়-ও। তাঁর কথায়, প্রতিবারই নিজে ভুল বুঝে বাংলার মানুষদের ভুল পথে চালিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই প্রতিবাদ আন্দোলনেরও তাই কোনও দাম নেই। আসলে এই প্রতিবাদের পেছনে রয়েছে বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের প্ররোচনা। এবং পক্ষান্তরে তাঁদরেই মদত দিচ্ছেন তিনি। শরণার্থীদের নিয়ে তিনি যদি সত্যিই চিন্তিত হন তাহলে হিন্দু শরণার্থীদের জন্য একটি শব্দও কেন খরচ করছেন না!