This Article is From Nov 15, 2019

মানুষের জীবনে মোবাইলের নজরদারি নিয়ে বাংলা ছবি প্রদর্শিত হল কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে

অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তিনি জানাচ্ছেন, এই ছবির কিছু অংশে কাজ করতে গিয়ে তিনি গভীর অস্বস্তির মধ্যে পড়েছেন।

মানুষের জীবনে মোবাইলের নজরদারি নিয়ে বাংলা ছবি প্রদর্শিত হল কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে

অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। (ছবিটি ‘রাজকাহিনি’ ছবির একটি দৃশ্য)

আজকের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের এক অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোন। আর সেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে (Mobile Surveillance) একজনের জীবনে কীভাবে নজরদারি চালানো সম্ভব তাকে ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে এক বাংলা ছবি। নাম ‘পার্সেল'। ২৫তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের (KIFF) প্রতিযোগিতা বিভাগে দেখানো হল ছবিটি। বৃহস্পতিবার ছবিটি নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ছবির পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্য (Indrashis Acharya) জানালেন, মোবাইলে নজরদারি চালিয়ে মানুষের ব্যক্তিগত জীবনকে জেনে নেওয়া যায়, সেদিকেই দৃষ্টিপাত করেছে ‘পার্সেল' নামের এই ছবিটি।  তিন‌ি বলেন, ‘‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ, কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে দেখা করছেন, কোন পথ দিয়ে রোজ যাওয়া আসা করছেন বা কোথায় থাকেন সব জানা যায় মোবাইল ফোনের সাহায্যে।''

‘টনিক‘ হাতে কাকে ‘স্বাগত' জানাতে সকাল সকাল কালিম্পঙে দেব?

পরিচালক জানাচ্ছেন, এই দমবন্ধ পরিবেশ বিষণ্ণতার জন্ম দেয়।

অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তিনি জানাচ্ছেন, এই ছবির কিছু অংশে কাজ করতে গিয়ে তিনি গভীর অস্বস্তির মধ্যে পড়েছেন।

ভারতের 'মুখ' হয়ে দুবাই যাচ্ছেন প্রসেনজিৎ, সঙ্গী ‘বঙ্গ প্রবাসী মিলাপ'

অভিনেত্রী জানাচ্ছেন, ‘‘এটা এমন এক ছবি যেটা আমার হৃদয়ের খুব কাছে। এটা আমাদের জীবনে দ্বিধা ও বিভ্রান্তি নিয়ে একটি নতুন দিককে সামনে নিয়ে এসেছে। কারও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও অনুভূতিতে নজরদারি চালানোটা রীতিমতো দমবন্ধ করা।''

তিনি আরও বলছেন, ‘‘আমরা সবাই খুশি হই পার্সেল পেলে। কিন্তু এই ছবিতে পার্সেল দ্বিধা এবং বিভ্রান্তি নিয়ে আসে গ্রাহকের মনে।''

ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানাচ্ছে, এই ধরনের ছবির জন্য প্রযোজক খুঁজে পাওয়া মুশকিল যেথানে সমসাময়িক থিমকে একেবারে ভিন্ন ভাবে দেখানো হচ্ছে। ব্যক্তিগত জীবনে মোবাইল ব্যবহার করেন না শাশ্বত। তিনি জানাচ্ছেন, অনেক সময়ই এমন সব বিষয়ের কথা বলেন পরিচালকরা, যেগুলি শুনতে আকর্ষণীয় মনে হলেও শ্যুটিং করে ফোটাতে ব্যর্থ হন তাঁরা।

কিন্তু ইন্দ্রাশিসের ক্ষেত্রে তেমন হয়নি জানিয়ে শাশ্বত জানাচ্ছেন, ‘‘ও চমৎকার ভাবে থিমটাকে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে।''

ছবির সঙ্গীত পরিচালক জয় সরকার জানাচ্ছেন, এই ছবিতে সাউনস্কেপ তৈরি করেছেন ইজরায়েল ও চেক প্রজাতন্ত্রের সুরকাররা।

ছবিটি সিঙ্গাপুর চলচ্চিত্র উৎসবেও দেখানোর জন্য নির্বাচিত হয়েছে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.