This Article is From Apr 05, 2020

‘রাজনীতি নয়! প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ এমনিতেই মানব’: ঋতুপর্ণা

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে বলা ভিডিওগুলি রাজ্য বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট হতেই প্রশ্ন ওঠে, তবে কি গেরুয়া শিবিরে দেখা যাবে তাঁকে?

‘রাজনীতি নয়! প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ এমনিতেই মানব’: ঋতুপর্ণা

'দেশ ও রাজ্যের প্রধানকে মানতে বাধ্য': ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

হাইলাইটস

  • 'প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানতে বাধ্য'
  • 'রাজনীতি নয়, সচেতনতার বার্তা দিয়েছি সবাইকে'
  • 'দুর্দিনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই', ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

‘২২ মার্চ নরেন্দ্র মোদির নির্দেশ মেনে গোটা দেশ যখন বিকেল পাঁচটায় বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাততালি, শাঁখ, কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়ে জরুরি পরিষেবা কর্মীদের সমর্থন জানিয়েছেন আমিও করেছি। আজ, ৫ এপ্রিল রাত নটায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে আলো নিভিয়ে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ বা মুঠোফোন---কিছু একটা জ্বালব। জ্বালব দেশের প্রধান এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে। একই ভাবে রাজ্যের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা নির্দেশ দিয়েছেন যেমন, মাস্ক পরা, ভালো করে হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, সেল্ফ আইসোলেশনে থাকা--- সমস্তটাই পালন করছি অক্ষরে অক্ষরে। কারণ, যাঁরা দেশের জন্য, রাজ্যের জন্য এভাবে প্রাণপাত করছেন একজন দেশবাসী এবং রাজ্যবাসী হিসেবে আমি তাঁদের নির্দেশ মানতে বাধ্য। আর পাঁচজনের মতোই। এখানে কেন রাজনীতির রং লাগছে?'

করোনা আতঙ্কের মাঝে রাজ্যে ফিরল ‘রাজনীতি', শনিবারের তিন ঘটনায় মিলল ইঙ্গিত

৫ এপ্রিল রাত ৯টায় ৯ মিনিটের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে আলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মোদি। বদলে মোমবাতি, টর্চ, প্রদীপ বা মুঠোফোন জ্বালাতে বলেছেন। করোনা মোকাবিলায় (Coronavirus)  দেশ যে ঐক্যবদ্ধ বিষয়টি সবার নজরে আনতে। খবর, এরপরেই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Ripuparna Sengupta) বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সমর্থনে বক্তব্য রাখেন। রবিবার রাত ন'টায় প্রধানমন্ত্রীর মোমবাতি জ্বালানোর আর্জিকে সমর্থন করেন তিনি। সেই ভিডিও দু'টি নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করে গেরুয়া শিবির। ইংরেজি ও হিন্দি দু'টি ভাষাতে সেখানে পরিষ্কার ভাবে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর রবিবার রাত ন'টায় আলো জ্বালানোর পরিকল্পনাকে পুরোপুরি সমর্থন করছেন।ভিডিওগুলি রাজ্য বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করার পরেই প্রশ্ন ওঠে, তবে কি গেরুয়া শিবিরে আগামী দিনে দেখা যাবে বাংলার বিখ্যাত এই অভিনেত্রীকে? মুঠোফোনে ঋতুপর্ণাকে ধরতেই কথাগুলি বলেন অভিনেত্রী।

করোনা রুখতে কোয়ারান্টাইন ক্যাম্প করা নিয়ে সংঘর্ষ বীরভূমে, মৃত ১

দেখুন ঋতুর ভিডিও বার্তা

অভিনেত্রীর আরও যুক্তি, 'আমি মহামারীর প্রথম দিন থেকে পরিবারকে নিয়ে সাবধানে থাকছি। প্রতিদিন সবাইকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সতর্কবার্তা পাঠাচ্ছি। সেফ হ্যান্ডস চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়েছি। মেয়ের সঙ্গে মুখে মাস্ক পরা ছবিও শেয়ার করেছি। কই তখন তো কোনও রাজনৈতিক দল আমার পোস্ট বা ভিডিও শেয়ার করেনি! দুর্দিনে দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ হওয়াটাই জরুরি। আমিও সেই বার্তাই দিয়েছি। সেখানে কীভাবে রাজনীতির রং লাগছে! এখন কি রাজনীতি করার সময়?'

Going by the present scenario and the tremendous impact due to the pandemic across the globe it is heart breaking to see so my lives at stake/ loss. People suffering all over due to lack of food and other resources. Maybe we are unable to reach out to each individual's or all around but we can do our bit within our reach/capacities and do as much as possible. So, It is our responsibility and duty to participate and look into the needs of the people who are in distress. So I have taken this initiative through Kolkata Endeavour Society with whom I work closely to support the cause to serve humanity.We are starting our campaign from Tollygunge & Lake Gardens area with distribution of some essential resources.We pledge to humbly serve those in need and do this EVERY WEEK to help these people to cope up with the indefinite hard time ahead of us. All our efforts for the sake of love & humanity! Together we will try and heal our Mother Earth and bring back happiness all over..???????? #StaySafe #StayHome #WeShallPassThisToo

A post shared by Rituparna Sengupta (@rituparnaspeaks) on

ঋতুপর্ণার কথায়, 'আমি প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী উভয়ের ত্রাণ তহবিলে দান করেছি। যদি রাজনীতিই করব তাহলে যেকোনও একটি তহবিলেই তো দান করতে পারতাম!' অভিনেত্রীর আশ্বাস, 'বর্তমান পরিস্থিতি দেখে আমি ভীষণ আতঙ্কিত। নিজেক দেশের জন্য, বিশ্বের জন্য। কাজ হারিয়ে, খাদ্যের অভাবে মানুষ কত অসহায়, দেখছি প্রতিদিন। তাই আমার সংস্থা এবং ক্লাবের মাধ্যমে যতটুকু সাহায্য করতে পারছি পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। কলকাতা এন্ডেভর সোসাইটির মাধ্যমে এই উদ্যোগ নিয়েছি। যার সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণের সেবায় যুক্ত। আমরা টালিগঞ্জ এবং লেক গার্ডেন অঞ্চলে কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করে আমাদের কাজ শুরু করেছি। কলকাতায় না থাকলেও সারাক্ষণ আপনাদের পাশে আছি। বিশ্বাস করুন, কোনোরকম রাজনীতিতে নেই!'

'দাদা'র কীর্তি, বেলুড় মঠের পরে ইস্কন, ভারত সেবাশ্রম সংঘে দান সৌরভ গাঙ্গুলির

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ছাড়াও শনিবারে ঘটে যাওয়া আরও একাধিক ঘটনা যেন ইঙ্গিত করছে, ‘স্বাভাবিকতা' ফিরল রাজ্যে। আবারও রাজনীতির চেনা ছবি ফুটে উঠল করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও।

.