हिंदी में पढ़ें
This Article is From Sep 03, 2019

দেহ ব্যবসার বিজ্ঞাপনে টেলি অভিনেত্রীর ছবি ও ফোন নম্বর, অভিযোগ দায়ের

দেহ ব্যবসার বিজ্ঞাপনে অভিনেত্রীর নাম, ছবি ও ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়। এতে ভয়ানক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে তাঁকে। অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

Advertisement
Kolkata Edited by

থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিনেত্রী বৃষ্টি রায়।

Highlights

  • থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিনেত্রী
  • দেহ ব্যবসার বিজ্ঞাপনে তাঁর নাম, ছবি ও ফোন নম্বর ব্যবহৃত হয়
  • পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
নয়াদিল্লি:

গত কয়েকটা দিন বাঙালি অভিনেত্রী (Bengali Actress) বৃষ্টি রায়ের (Brishti Roy) জীবনে দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছে। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ফোন আসছে তাঁর কাছে। প্রতিটি ফোনেই অশ্লীল প্রশ্ন ও প্রস্তাব। প্রথমে হকচকিয়ে গেলেও ঠিক কী হচ্ছে বুঝতে পারেননি তিনি। পরে তাঁর কাছে বিষয়টা পরিষ্কার হতেই হতভম্ব হয়ে যান অভিনেত্রী। জানতে পারেন লোকাল ট্রেন ও স্টেশনে গত ১০ দিন ধরে একটি পোস্টার দেখা যাচ্ছে। সেখানে তাঁর নাম, মোবাইল নম্বর ও ছবি দিয়ে জানানো হয়েছে, বৃষ্টি দেহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। আর সেখান থেকেই সূত্রপাত অশান্তির। একের পর এক ফোন পেতে থাকেন বৃষ্টি।

সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে বৃষ্টি জানান, ‘‘আমার কাছে ২৪ অগস্ট থেকে বিভিন্ন অজানা নম্বরের ফোন আসতে থাকে। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম ভুয়ো কল। পরে এক বন্ধু আমায় লোকাল ট্রেনের পোস্টারের বিষয়ে জানায়। ওই পোস্টারে দেহ ব্যবসার কথা লেখা ছিল। আমর নাম, ছবি ও ফোন নম্বর দেওয়া ছিল। আমি শকড হয়ে যাই। বুঝতে পারছিলাম না কী ভাবে রিঅ্যাক্ট করব।''

একের পর এক ফোন পেতে থাকেন বৃষ্টি। ফোনে তাঁকে নানা রকম অশালীন প্রস্তাব দিতে থাকেন লোকেরা। সোনারপুরের মালঞ্চয় থাকেন বৃষ্টি। জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার সকালেও তিনি এই ধরনের ফোন পেয়েছেন। বাংলা ধারাবাহিকের চেনা মুখ বৃষ্টি। ‘বউ কথা কও', ‘তোমায় আমায় মিলে', ‘সুবর্ণলতা', ‘ভূমিকন্যা'র মতো সিরিয়ালে তাঁকে দেখা গিয়েছে। বাংলা ছবিতেও কাজ করেছেন বৃষ্টি। তবে ‌এই মুহূর্তে কোনও কাজ করছেন না অভিনেত্রী।

Advertisement

তিনি আরও জানাচ্ছেন, ‘‘আমি ফোন নম্বর বদলে ফেলব বলে ঠিক করেছিলাম। কিন্তু এখনই করতে পারব না, কারণ পুলিশ তদন্ত করছে। ওদের এই নম্বর দরকার, কারণ এটাই পোস্টারে দেওয়া আছে। তাছাড়া আমার সব জরুরি নম্বর এতেই আছে। তাই রাতারাতি এটা বদলাতে পারব না।''

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি জানি আমি নির্দোষ। এটা কেউ আমাকে বিরক্ত করার জন্য করেছে। কিন্তু আমি এত সহজে হার মানতে রাজি নই। আমার বিশ্বাস দোষীরা তাড়াতাড়ি ধরা পড়বেন।''

Advertisement

সোনারপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বৃষ্টি। পুলিশ আধিকারিক রশিদ খান বলছেন, ‘‘আমরা তদন্ত শুরু করে দিয়েছি। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।''

Advertisement