কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের দুই বিরোধী দল বিজেপি ও সিপিএম সোমবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাল যে, তাদের ভোটারদের ‘হুমকি দিচ্ছে' তৃণমূল নেতারা। ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গ শাখার সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের সঙ্গে একটি সর্বদলীয় বৈঠক থেকে বেরোনোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে কোনও গণতন্ত্র নেই। সবে রবিবার নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করেছে। তারপরই এক তৃণমূল মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র বলে বসলেন, সিআরপিএফ মাত্র দু'দিনের জন্য আসবে। বাকি দিনগুলোয় রাজ্যের মানুষকে নির্ভর করতে হবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ওপর। আমরা মনে করছি, এটা একটা পরিষ্কার হুমকি”।
প্রসঙ্গত, রবিবার পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, গোটা বছর জুড়ে রাজ্য পুলিশই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখে। তাহলে আচমকা কেন সবাই মিলে সিআরপিএফের কথা বলতে আরম্ভ করল!
"ভোটের জন্যই এয়ার স্ট্রাইক করা হয়েছে", কেন্দ্রকে তোপ ফারুক আবদুল্লার
এই রাজ্যের জন্য নির্বাচন কমিশনের সাত দফা নির্বাচন সূচির ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “আসল কথা হল যতক্ষণ না সিআরপিএফ সহ অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে, ততক্ষণ এই রাজ্যে স্বচ্ছ নির্বাচন হবে কি না”।
তিনি রাজ্যের ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কথাও বলেন। অভিযোগ করেন, গত বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রবল হিংসা এখনও মানুষ ভুলতে পারেনি। তাই তারা ভয়ে আছে যাতে কোনওভাবেই ওই কালোদিনগুলো আবার ফিরে না আসে।
অন্যদিকে, সিপিএম নেতা রবীন দেবের অভিযোগ, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পরেই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল হুমকি দিতে আরম্ভ করেছেন।
“আমরা জানতে চাই, ভোটাররা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গেলেও, তাঁরা যে তাঁদের ভোটটা দিতে পারবেন তা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা আছে কি না। গত বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং উপ-নির্বাচনগুলি কিন্তু আমাদের সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্রটি দেখিয়েছে”।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর ছবি দেওয়া বড় বড় হোর্ডিংগুলো পেট্রোল পাম্প এবং রেলস্টেশন থেকে সরানোর ব্যাপারেও সরব হন রবীন দেব।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)