हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Mar 08, 2020

বেঙ্গালুরুর কাছে যিশুর মূর্তি সরানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা জাভেদ আখতারের

জোর করে ধর্মান্তরণ প্রসঙ্গে আর্চবিশপের বক্তব্য, ‘‘যদি জোর করে ধর্মান্তরিত করার কোনও ঘটনা ঘটে থাকে, তবে সরকার তা তদন্ত করে দেখুক ও পদক্ষেপ করুক।''

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Reported by , Edited by

Highlights

  • বেঙ্গালুরুর কাছে যিশুর মূর্তি সরানো নিয়ে বিতর্ক
  • ঘটনার সমালোচনা করলেন জাভেদ আখতার
  • বিখ্যাত গীতিকার জানান, এই ঘটনায় তাঁর মাথা লজ্জায় ঝুঁকে গিয়েছে
বেঙ্গালুরু:

বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) সন্নিকটে যিশু খ্রিস্টের (Jesus Christ) একটি মূর্তির অপসারণ নিয়ে মন্তব্য করলেন বর্ষীয়ান গীতিকার ও কপি জাভেদ আখতার (Javed Akhtar)। জানালেন, তিনি নাস্তিক হওয়া সত্ত্বেও এই ঘটনায় তাঁর মাথা লজ্জায় ঝুঁকে গিয়েছে। কর্নাটক সরকারের নির্দেশে ওই মূর্তির অপসারণের নিন্দা করেন তিনি। ভারতের ধর্মীয় বৈচিত্র ও সহনশীলতার ইতিহাসের কথা মনে করিয়ে দিতে অন্য একটি টুইটে তিনি মনে করিয়ে দেন ভারতের প্রথম চার্চ নির্মিত হয়েছিল মোগল বাদশাহ আকবরের অনুমতি ও আশীর্বাদ নিয়ে। 
শুক্রবার, বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে দেভানাহল্লি শহরে যিশু খ্রিস্টের মূর্তি এবং ১৪টি ক্রস স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত না করে একটি ক্রেনের সাহায্যে সরানো হয়। তারপর তা চার্চ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

"গোটা বিশ্ব 'নমস্তে' করছে, নমস্কারের অভ্যাস করুন", করোনা রুখতে মোদি-দাওয়াই

বেঙ্গালুরুর আর্চডিওসিজের মুখপাত্র জেএ কণ্ঠরাজ মূর্তির অপসারণের সমালোচনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন সরকার অনুমোদিত খ্রিস্টানদের সমাধিস্থলের জমিতে ওই মূর্তিটি অবস্থিত ছিল।

তিনি বলেন, ‘‘১৫ দিন আগে তহসিলদার সব সম্প্রদায়কে ডেকে বলেন, ধর্মান্তরণের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু কোনও ধর্মান্তরণের ঘটনাই ঘটেনি।''

করোনা সচেতনতায় উদ্যোগী বিএসএনএল এবং জিও, কাশির আওয়াজের সঙ্গে বার্তা

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘‘দু'দিন আগে তহসিলদার পুলিশ ও যন্ত্রপাতি নিয়ে আসেন। এবং মৌখিক বা লিখিত কোনও রকমের নোটিস ছাড়াই মূর্তিটি ও ১৪টি ক্রস স্টেশন সরিয়ে নেওয়া হয়।''

বেঙ্গালুরুর আর্চবিশপ ড. পিটার মাকাদো বলেন, এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, ‘‘খ্রিস্টানরা চায় যিশু খ্রিস্টের মূর্তিটি, যেটিকে হঠাৎই অপসারিত করা হয়েছে, তাকে আবার প্রতিষ্ঠিত করা হোক। এটা ধর্মীয় ঐক্যের উপরে আঘাত এবং ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন।''

Advertisement

স্থানীয় থানায় এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি আর্চডিওসিজের তরফে আদালতে যাওয়ার বিষয়েও সিদ্দান্ত নেওয়া হয়েছে।

জোর করে ধর্মান্তরণ প্রসঙ্গে আর্চবিশপের বক্তব্য, ‘‘যদি জোর করে ধর্মান্তরিত করার কোনও ঘটনা ঘটে থাকে, তবে সরকার তা তদন্ত করে দেখুক ও পদক্ষেপ করুক।'' কিন্তু এইভাবে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপরে সরকারের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেন তিনি। 

Advertisement