Read in English
This Article is From Jun 23, 2020

বেঙ্গালুরুতে স্ত্রীকে খুন করে কলকাতায় এসে শাশুড়িকে হত্যা করে আত্মঘাতী জামাই!

খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছলে নিহত ললিতাকে মৃত অবস্থায় পান। রক্তে ভেসে যাওয়া ওই মেঝেতেই কিছু দূরে পড়েছিল অমিত আগরওয়ালের মৃতদেহও এবং মেঝেতেই খানিক দূরে পড়ে ছিল ঘাতক পিস্তলটি।

Advertisement
সিটিস Edited by
কলকাতা :

বেঙ্গালুরুতে স্ত্রীকে খুন করে কলকাতায় এসে শাশুড়িকে হত্যা করলেন বছর ৪২-এর এক ব্যক্তি! দুই হত্যা করে নিজেও আত্মঘাতী হয়েছেন অমিত আগরওয়াল নামের ওই ব্যক্তি। বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় এসে একটি অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে শাশুড়িকে গুলি করে হত্যা করেন অমিত। তাঁর শ্বশুর ফ্ল্যাটের বাইরে দৌড়ে পালিয়ে আসেন এবং অমিতকে ভেতর থেকে তালা বন্ধ করে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন।

পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শাশুড়ি এবং জামাইয়ের মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে যাতে অমিত স্বীকার করেছিলেন যে তিনি দ্বিতীয় হত্যা করার জন্য কলকাতায় রওনা হওয়ার আগে বেঙ্গালুরুতে তাঁদের বাড়িতে নিজের স্ত্রীকেও হত্যা করে এসেছেন। বেঙ্গালুরু পুলিশ হোয়াইটফিল্ড এলাকায় তাঁদের বাড়ি থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে।

অমিত আগরওয়াল পেশায় একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং বেশ কয়েক বছর আগেই শিল্পী ঢনডনিয়াকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের একটি ১০ ​​বছরের সন্তানও রয়েছে কিন্তু অনেকদিন ধরেই সমস্যা চলায় বিবাহবিচ্ছেদের দিকে এগিয়েছিলেন তাঁরা।

Advertisement

অমিত আগরওয়াল বিকেল সাড়ে ৫ টা নাগাদ ফুলবাগান এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির ফ্ল্যাটে আসেন। দু' পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে বেশ অনেকক্ষণই। উত্তেজিত অবস্থায় অমিত আগরওয়াল পকেট থেকে পিস্তল বের করে তাক করেন শাশুড়ির দিকে এবং পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে শাশুড়ি ললিতা ঢনডনিয়াকে গুলি করে হত্যা করেন।

আতঙ্কিত শ্বশুর, ৭০ বছর বয়সী সুভাষ ঢনডনিয়া এক দৌড়ে নিজের ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে যান। এবং বেরনোর সময় বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে দেন। তৎক্ষণাৎ সাহায্যের জন্য প্রতিবেশীদের কাছে ছুটে যান বৃদ্ধ সুভাষ ঢনডনিয়া।

Advertisement

খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছলে নিহত ললিতাকে মৃত অবস্থায় পান। রক্তে ভেসে যাওয়া ওই মেঝেতেই কিছু দূরে পড়েছিল অমিত আগরওয়ালের মৃতদেহও এবং মেঝেতেই খানিক দূরে পড়ে ছিল ঘাতক পিস্তলটি।

ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে যাতে অমিত আগরওয়াল লিখেছিলেন যে তিনি বেঙ্গালুরুতে তাঁর স্ত্রী শিল্পীকেও হত্যা করেছেন। কর্ণাটকের রাজধানীর পুলিশকে তক্ষুণি পুরো বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করা হয় এবং এর কিছুক্ষণ পরেই হোয়াইটফিল্ডের ডিসিপি স্ত্রীর হত্যার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন।

Advertisement

আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

অমিত এবং শিল্পী আগরওয়ালের ছেলে কোথায় রয়েছেন তা পুলিশের তরফে প্রকাশ না করা হলেও কলকাতা পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে তিনি নিরাপদে আছেন।

Advertisement

(যদি আপনার সহায়তার প্রয়োজন হয় বা এমন কাউকে জানেন যার সাহায্যের প্রয়োজন তবে দয়া করে আপনার নিকটস্থ মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন)

Advertisement

Helplines: AASRA: 91-22-27546669 (24 hours) Sneha Foundation: 91-44-24640050 (24 hours) Vandrevala Foundation for Mental Health: 1860-2662-345 and 1800-2333-330 (24 hours) iCall: 022-25521111 (Available from Monday to Saturday: 8:00am to 10:00pm) Connecting NGO: 18002094353 (Available from 12 pm - 8 pm)

Advertisement