বনধ সম্পর্কে রইল ১০ তথ্য:
শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে বারো দফার দাবি পেশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে মজুরি বৃদ্ধি, ন্যূনতম মজুরি, সামাজিক নিরাপত্তা ও সপ্তাহে পাঁচ দিনে কাজের মথো নানা দাবি।
মঙ্গলবার সরকারের তরফে শ্রমিক সংগঠনগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, বনধ হলে তার ফল ভুগতে হবে তাদের। কর্মী মন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে কর্মীরা বনধে অংশ নেবেন, তাঁদের দৈনিক মজুরি কাটা যাবে। এছাড়াও তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ করা হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশকে উদ্ধৃত করে সরকারি আধিকারিকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, বনধের সময় কোনও শ্রমিককে ক্যাজুয়াল লিভের সম্মতি না দিতে।
ভারত বনধের ফলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির পরিষেবা সম্ভবত বিঘ্নিত হবে না। এসবিআই জানিয়ে দিয়েছে, এই ধর্মঘটে এসবিআইয়ের পরিষেবায় খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।
সিটু ছাড়াও আরও ন'টি শ্রমিক সংগঠন এই বনধে অংশ নিচ্ছে। যথা— এআইটিইউসি, এইচএমএস, আইএনটিইউসি, এআইইউটিইউসি, টিইউসিসি, এসইডবলিউএ, এআইসিসিটিইউ, এলপিএফ, ইউটিইউসি।
শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের দাবি, অর্থনৈতিক মন্দার ফলে তৈরি হওয়া চ্যালেঞ্জ গ্রহণে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার। বরং তারা বেসরকারিকরণের দিকে উৎসাহী। তাঁদের অভিযোগ, সরকারের এই সব পদক্ষেপের ফলে জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে বাম ও অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, এই বনধ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে। যদিও রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই বনধকে সমর্থন করছে না।
কেরলে শ্রমিক সংগঠনগুলি বুধবারের বনধের আওতার বাইরে রেখেছে রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রকে।
গত সপ্তাহে শ্রমিক মন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেন। কিন্তু তিনি তাঁর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বনধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেননি নেতারা।
বনধে সমর্থন জানিয়েছে ১৭৫টি কৃষক ও কৃষিকর্মী সংগঠন। তারা আজ গ্রামীণ ভারত বনধ ডেকেছে।