দু-এক জায়গায় বনধ সমর্থনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধস্তি হয় ।
কলকাতা: ভারত বনধের প্রায় কোনও প্রভাবই পড়ল না রাজ্যের কোনও জায়গাতেই । কলকাতা থেকে শুরু করে জেলা সর্বত্রই জনজীবন ছিল একেবারে স্বাভাবিক। বাস থেকে শুরু করে সমস্ত ধরনের যানও চলাচল করেছে স্বাভাবিক নিয়মে। স্কুল কলেজ থেকে সরকারি এবং বেসরকারি অফিস সবই ছিল খোলা। দু-এক জায়গায় বনধ সমর্থনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধস্তি ছাড়া তেমন বড় কোনও গোলমালের খবরও আসেনি রাজ্যের কোন অংশ থেকে। কোনও রকম গোলমাল যাতে না হয় তার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল প্রশাসন। তাছাড়া আগে থেকেই শাসক তৃণমূল জানিয়েছিল তারা বনধে অংশ নেবে না। আলাদা করে পেট্রল ও ডিজেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদ করবে।
পেট্রল এবং ডিজেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে ছ’ঘণ্টা ধর্মঘট করে কংগ্রেস সিপিএম সহ কয়েকটি দল আজই দিনে বারো ঘণ্টার বনধ ডাকে। কিন্তু কোনওটি সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। এরই মধ্যে হাওড়ার দাশনগরের শিল্পাঞ্চলে পথ অবরোধের চেষ্টা হয়। কিন্তু পুলিশি তৎপরতায় সেটা করা সম্ভব হয়নি। এদিকে রাজ্য সরকার আগেই জানিয়েছিল বনধের দিন অনুপস্থিত থাকলে কর্মজীবন থেকে একটি দিন বাদ পড়বে। আর সেই কারণেই সরকারি অফিসে হাজিরার পরিমাণ ছিল অন্য দিনের তুলনায় বেশি। একটি সূত্র বলছে সরকারি কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল 95 থেকে 97 শতাংশ। তবে কয়েকটি জায়গায় ট্রেন আটকানোর চেষ্টা হয়। পুলিশি তৎপরতায় তা বাস্তবায়িত হতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বাংলায় বাম আমলে প্রচুর বনধ হয়েছে। তাই ক্ষমতায় এসে বনধ সম্পর্কে নীতি বদলেছি। কিন্তু বনধ না করা মানে এই নয় যে আমরা বিজেপি বিরোধিতা করছি না। তাদের প্রতিটি জনবিরোধী নীতির আমরা প্রতিবাদ করছি।