গত ২১ ডিসেম্বর জামা মসজিদের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় চন্দ্রশেখর আজাদকে।
হাইলাইটস
- গত ২১ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয় চন্দ্রশেখর আজাদকে।
- ‘‘আপনারা সংবিধান পড়েছেন?’’ দিল্লি পুলিশকে প্রশ্ন আদালতের
- পাশাপাশি আদালত বলেছে, ‘‘আপনারা এমন করছেন যেন জামা মসজিদ পাকিস্তানে!’’
নয়াদিল্লি: গত মাসে জামা মসজিদে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (Citizenship Amendment Act) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে আটক ভীম সেনাবাহিনীর প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ (Chandrashekhar Azad) ওরফে ‘রাবণ'-এর জামিন মামলার শুনানির সময় তিস হাজারি আদালত দিল্লি পুলিশকে তিরস্কার করল। দিল্লি পুলিশকে আদালত জানাল, প্রতিবাদ করা সাংবিধানিক অধিকার। পাশাপাশি আদালত বলেছে, ‘‘আপনারা এমন করছেন যেন জামা মসজিদ পাকিস্তানে। এমনকী যদি এটা পাকিস্তানও হত, তাহলেও সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ করা যায়। পাকিস্তান অবিভক্ত ভারতের অংশ ছিল।'' শুক্রবার দরিয়াগঞ্জে সরকারি আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘‘আমি আপনাদের এমন আইন দেখাতে চাই, যেখানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শনকে রদ করার কথা বলা হয়েছে।''
অসুস্থ চন্দ্রশেখর আজাদ, অবিলম্বে প্রয়োজন চিকিৎসা, ভীম আর্মির আবেদন অস্বীকার জেল কর্তৃপক্ষের
এরপর বিচারক দিল্লি পুলিশকে বলেন, ‘‘আপনাদের কি মনে হয় দিল্লি পুলিশ এতটাই পিছিয়ে পড়েছে যে, তাদের কাছে কোনও রেকর্ড নেই? ছোট মামলায় দিল্লি পুলিশ প্রমাণ পেশ করেছে। কিন্তু এই ঘটনায় কেন নেই?'' তিনি আরও বলেন, ‘‘হিংসা কোথায় হয়েছিল? এই পোস্টগুলিতে সমস্যাটা কী? কে বলেছে প্রতিবাদ করা যায় না? আপনারা সংবিধান পড়েছেন?''
দিল্লি পুলিশের তরফে উপস্থিত আইনজীবী বলেন, ‘‘আমরা যে ড্রোন ফুটেজ পেয়েছি, তা থেকে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে চন্দ্রশেখর কীভাবে ভিড়কে উস্কাতে বক্তৃতা দিচ্ছেন।'' এই দাবিকে অস্বীকার করেছেন চন্দ্রশেখর আজাদের আইনজীবী মেহমুদ প্রাচা। তিনি দাবি করেন, চন্দ্রশেখর কোনও উস্কানিমূলক ভাষণ দেননি। তিনি কেবল নাগরিকত্ব সংশোধন আইন এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিবাদ ব্যক্ত করছিলেন।
গত ২১ ডিসেম্বর দিল্লি পুলিশ আটক করে চন্দ্রশেখর আজাদকে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে জামা মসজিদ থেকে যন্তর মন্তর পর্যন্ত একটি মিছিলের পরিকল্পনা করেন আজাদ। এবং ওই মিছিলটি বের হয় পুলিশের থেকে কোনও অনুমতি না নিয়েই।