ভীম আর্মি (Bhim Army) শনিবার জানিয়েছে, তাদের নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ (Chandrashekhar Azad) যিনি এই মুহূর্তে জেলবন্দি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শীঘ্র তাঁর চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে আর্মির তরফে। এক বর্ষীয়ান জেল আধিকারিক অবশ্য এমন দাবিকে অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন চন্দ্রশেখর আজাদ সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। জেলের চিকিৎসকরা তাঁকে শারীরিক ভাবে পরীক্ষা করে তাঁর শরীরে কোনও সমস্যা পাননি। চন্দ্রশেখর আজাদের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হরজিৎ সিংহ ভাট্টির দাবি, চন্দ্রশেখর এমন এক অসুখে আক্রান্ত যেখানে কিছুদিন অন্তর নিয়মিত তাঁর শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তকোষ বের করে রক্তের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ধর্মীয় পোশাকেই এবার নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে কলকাতার রাস্তায় নামছেন চার্চের যাজকরা
ভীম আর্মির মুখপাত্র কুশ আম্বেদকারওয়াদি গত শুক্রবার দেখা করেন চন্দ্রশেখর আজাদের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, গত দেড় বছর ধরে ওই অসুখে আক্রান্ত আজাদ। তিনি তিহার জেল কর্তৃপক্ষকেও একথা জানিয়েছেন।
এক সপ্তাহ আগে তাঁর শরীর থেকে রক্তকোষ বের করার কথা। চন্দ্রশেখর আজাদ মাথা ও তলপেটে ব্যথা এবং মাথাঘোরার সমস্যায় ভুগছেন বলে তাঁর চিকিৎসক দাবি করেছেন।
‘‘একটা বিষয় যেটা উদ্বিগ্ন করছে...'': সিএএ প্রসঙ্গে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
তিনি বলেন, যদি এখনই চিকিৎসা শুরু না করা হয়, তাহলে রক্ত আরও জমাট বেঁধে গিয়ে আজাদ হৃদরোগেও আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে এইমসে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছেন না বলে জানান তিনি।
একটি টুইটে তিনি দাবি করেন, ‘‘এটা অমানবিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। আমি দিল্লি পুলিশ এবং (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) অমিত শাহকে অনুরোধ জানাই ওঁকে এইমসে ভর্তি করার জন্য।''
জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজাদ সুস্থই রয়েছেন। প্রয়োজন পড়লে তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হবে জানিয়েছেন তাঁরা।
গত ২১ ডিসেম্বর দিল্লি পুলিশ আটক করে চন্দ্রশেখর আজাদকে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে জামা মসজিদ থেকে যন্তর মন্তর পর্যন্ত একটি মিছিলের পরিকল্পনা করেন আজাদ। এবং ওই মিছিলটি বের হয় পুলিশের থেকে কোনও অনুমতি না নিয়েই।