Bangladesh Bhola protest: এখনও অব্দি চারজন মারা গিয়েছেন এবং প্রায় ৫০ জন আহত (এএফপি)
ঢাকা: বাংলাদেশে গুলি চালিয়ে চারজনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে! রবিবার এখনও অবধি দেশের সবচেয়ে মারাত্মক ধর্মীয় হিংসার (deadliest religious riots) ঘটনার সাক্ষী হয়েছে প্রতিবেশী এই দেশ। রবিবার ধর্মীয় কারণে বিক্ষুব্ধ জনতার উপর বাংলাদেশ পুলিশ গুলি চালালে চার জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এই ঘটনার একদিন পরেই সোমবার সারা বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ পথে নেমে প্রতিবাদ জানায়। রবিবার ভোলা দ্বীপের (Bhola protest) এক হিন্দু যুবকের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে বিক্ষোভে নামেন প্রায় ২০ হাজার মুসলিম! অভিযোগ ফেসবুক পোস্টে নবী মহাম্মদকে (Prophet Mohammed) অপমান করেছে ওই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করলে তাঁরা গুলি চালান। এই ঘটনায় এখনও অব্দি চারজন মারা গিয়েছেন এবং প্রায় ৫০ জন আহত। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন কমপক্ষে সাতজন।
দাড়িতে অকাল বসন্ত! বাংলাদেশে হু হু করে বাড়ছে গেরুয়া দাড়ির জনপ্রিয়তা; কিন্তু কেন?
অনলাইন পোস্টের মাধ্যমে ঘৃণা বা হিংসা ছড়ানোর বারংবার নজিরে বাংলাদেশের সুরক্ষা বাহিনীও বেশ সমস্যায়! এই দেশের ১৬৮ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশই মুসলিম! রবিবার গভীর রাতে ও সোমবার হাজারে হাজারে মুসলিমরা স্লোগান তুলে প্রতিবাদে রাস্তায় নামে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কর্মকর্তাদের বিচারের আহ্বান জানায়।
রাজধানী ঢাকার একটি মিছিলে পা মেলানো ২২ বছর বয়সী মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান এএফপিকে বলেন, “এ মেনে নেওয়া যায় না! পুলিশ অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালিয়েছে। এটি বিচার বহির্ভূত হত্যা। আমরা বিচার চাই।”
যে হিন্দু ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মূল বার্তাটি পোস্ট করা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় উত্তেজনা প্ররোচিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Prime Minister Sheikh Hasina) সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং তিনি বলেছেন, ওই ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি একজন মুসলিম ব্যক্তিই হ্যাক করেছে এবং সেখান থেকেই ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে!
বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে গুলি বিজিবি-র, শহিদ হলেন এক বিএসএফ জওয়ান
ভোলা বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হাজার হাজার বিক্ষোভকারীদের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে স্থানীয় পুলিশ প্রধান এনামুল হক এএফপিকে জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, বিক্ষোভকারীদের গুলিতে আহত একজন পুলিশ কর্মকর্তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি।
এই প্রথম যে ফেসবুক পোস্টে উত্তাল হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশে বড় আকারের ধর্মীয় হিংসার ঘটনা ঘটল তা নয়! ২০১৬ সালে, একটি ফেসবুক পোস্টে ইসলামের পবিত্রতম স্থানগুলিকে অবজ্ঞা করা হয়েছে এই অভিযোগে পূর্বের শহরে হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ মুসলিমরা।
এবং ২০১২ সালে, মুসলিমরা উপকূলীয় কক্সবাজার জেলার বৌদ্ধ বিহার, ঘরবাড়ি এবং দোকানগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। অভিযোগ, এক তরুণ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী কোরানের একটি ছবি অনলাইনে প্রকাশ করে এই গ্রন্থকে অপমান করেছে।