தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Nov 20, 2019

কেন সংস্কৃত পড়াবেন মুসলিম অধ্যাপক? উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে যজ্ঞ করে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ

Banaras Hindu University: অধ্যাপক ফিরোজ খান মূলত রাজস্থানের বাসিন্দা। তাঁর বাবাও সংস্কৃত পড়াশোনা করেছেন এবং তিনি তাঁদের এলাকায় একটি মন্দিরে ভজনও গাইতেন।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by
বারাণসী :

কেন সংস্কৃত পড়াবেন মুসলিম অধ্যাপক? তাও আবার বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের (Banaras Hindu University) মতো ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে? এমন দাবি তুলেই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন পড়ুয়ারা। সহকারী অধ্যাপক হিসাবে ফিরোজ খানকে (Firoze Khan) সংস্কৃত পড়ানোর জন্য নিয়োগ করা নিয়ে বিতর্ক প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চলছে। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিদ্যা ধর্ম বিজননের (Sanskrit Vidya Dharm Vijnan) সাহিত্য শাখায় অধ্যাপক ফিরোজ খানের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। ১২ দিন ধরে সংস্কৃত সাহিত্যের ৩০ জন শিক্ষার্থীদের একটি দল বিএইচইউর উপাচার্য রাকেশ ভাটনগরের (BHU Vice-Chancellor Rakesh Bhatnagar) কার্যালয়ের বাইরে বসে অধ্যাপক ফিরোজ খানের নিয়োগ বাতিল করার এবং নতুন করে নিয়োগের দাবি জানিয়ে ধর্ণায় বসেছে। উপাচার্যের কার্যালয়ের বাইরে শিক্ষার্থীরা মন্ত্রোচ্চারণ করছেন শোনায় এবং যজ্ঞও চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁরা জানিয়েছেন যে তাঁদের দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত এখান থেকে সরবেন না তাঁরা।

 আরও পড়ুনঃ পোশাক বিধি না মানায়, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ছাত্রীদের লেগিংস খুলে নিল স্কুল কর্তৃপক্ষ!

প্রতিবাদকারীদের মধ্যে অন্যতম কৃষ্ণ কুমার বলেন, “আমি মনে করি গণমাধ্যম বিষয়টিকে বিকৃত করছে। আমরা কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের কারও বিরুদ্ধে লড়াই করছি না তবে আমরা দৃঢ় প্রতিবাদ জানাচ্ছি যে ঐতিহ্য অনুসারে বিষয়গুলি ঘটছে না।”

Advertisement

তাঁরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিশেষ বিভাগে অধ্যাপকের নিয়োগের বিরোধী এই বিষয়টিতে জোর দিয়ে কৃষ্ণ কুমার আরও বলেন, “এটি কোনও সাধারণ বিভাগ নয়। এটি সংস্কৃত-বিদ্যা-ধর্ম-জ্ঞান-সংকায়া (Sanskrit-Vidya-Dharma-Vijnan-Sankaya), যেখানে আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে শেখানো হয়, কেবল ভাষা নয়। যদি তাকে পড়াতেই হয়, তবে সংস্কৃত বিভাগে গিয়ে পড়ানো উচিৎ। আমরা এখানে এর অনুমতি দিতে পারি না।”

বিএইচইউ-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে যে, সংস্কৃত-বিদ্যা-ধর্ম-জ্ঞান-সংকায়া ১৯১৮ সালে বিএইচইউর প্রতিষ্ঠাতা পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য (Pandit Madan Mohan Malviya) প্রতিষ্ঠা করেন। “প্রাচীন ভারতীয় শাস্ত্র, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যয়ন, সংরক্ষণ এবং প্রচার করার জন্য”ই এই বিভাগের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতের একটি পৃথক বিভাগও রয়েছে যা কলা বিভাগের অধীনে কাজ করে।

Advertisement

আরও পড়ুনঃ কর ফাঁকির অভিযোগে ইন্দিরা গান্ধির জন্মস্থানকে ৪.৩৫ কোটি টাকার নোটিশ!

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, অধ্যাপক ফিরোজ খান এই কাজের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবেই বিবেচিত এবং নিয়োগের সময় সমস্ত পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়েছিল। বিএইচইউর চিফ প্রক্টর (Chief Proctor of BHU) ও পি রাই (O P Rai) বলেন, “শিক্ষার্থীরা বলেছে এটি SVDV-র সংস্কৃতি অনুসারে হয়নি, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারেই কাজ করে।”

Advertisement

“আমাদের বাছাই কমিটি নিয়ম অনুসারেই কাজ করেছে। শিক্ষার্থীদের যদি সমস্যা থাকে তবে আমরা বিষয়টি বিবেচনা করব তবেই শিক্ষার্থীরা সঠিক বিষয়টি বুঝবে। আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় তার বিধি অনুসারেই কাজ করে এবং আমরা সে অনুযায়ীই কাজ করব,” বলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় গত সপ্তাহে দু'বার বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, “ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে সমান শিক্ষাগ্রহণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিএইচইউ বদ্ধপরিকর।”

Advertisement

অধ্যাপক ফিরোজ খানকে তার নিয়োগের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায়নি। তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন ও মেসেজ করেও উত্তর মেলেনি।

অধ্যাপক ফিরোজ খান মূলত রাজস্থানের বাসিন্দা। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁর বাবাও সংস্কৃত পড়াশোনা করেছেন এবং তিনি তাঁদের এলাকায় একটি মন্দিরে ভজনও গাইতেন।

Advertisement

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অধ্যাপক ফিরোজ খান রাজস্থানের বাগড়ুতে রাজকীয় সংস্কৃত বিদ্যালয়ে সংস্কৃত পড়েন এবং তারপরে রাজস্থানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই ভাষায় উচ্চতর শিক্ষার ডিগ্রি অর্জন করেন।

Advertisement