This Article is From Dec 10, 2019

বিক্ষোভের মুখে পড়ে পদত্যাগ করলেন BHU-এর সংস্কৃতের মুসলিম অধ্যাপক ফিরোজ খান

BHU Professor Firoze Khan: প্রতিবাদী পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে শুভম তিওয়ারি বলেন, “অধ্যাপক ফিরোজ খানকে বলতে চাই আমাদের কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই... আমরা তাকে শুভেচ্ছা জানাই।”

BHU Professor Firoze Khan: সোমবার সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেছেন অধ্যাপক

হাইলাইটস

  • BHU-এর অন্য বিভাগে পড়াবেন ফিরোজ খান
  • ৫ নভেম্বর তাকে সংস্কৃত বিদ্যা ধর্ম অনুষদে নিয়োগ করা হয়েছিল
  • প্রায় এক মাস তার নিয়োগের বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা
লখনউ:

বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের (Banaras Hindu University) সংস্কৃত বিদ্যা ধর্ম (Sanskrit Vidhya Dharma) অনুষদে যে মুসলিম অধ্যাপক (Muslim professor নিয়োগের কারণে বিক্ষোভে সামিল হন পড়ুয়ারা, সেই অধ্যাপক ফিরোজ খান (Firoze Khan) পদত্যাগ করলেন। পড়ুয়াদের দাবি ছিল একজন অ-হিন্দু অধ্যাপক এই বিষয়টি পড়াতে পারেন না। ফিরোজ খান ওই অনুষদ থেকে পদত্যাগ করে একই প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন বিভাগে সংস্কৃত পড়াবেন বলে জানা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে আপাত সমঝোতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে এই পদক্ষেপটিকে। প্রায় এক মাসব্যাপী বিক্ষোভ এবং ধর্ণা চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই পড়ুয়াদের দাবি ছিল এই অনুষদ ধর্ম ও সাহিত্যের অধ্যয়নের সঙ্গে জড়িত তাই কোনও অ-হিন্দু অধ্যাপক এখানে পড়াতে পারবেন না।

 আরও পড়ুনঃ দৃষ্টান্ত স্থাপন বেলুড় কলেজের! সংস্কৃত বিভাগে মুসলিম শিক্ষক নিয়োগ করল রামকৃষ্ণ মিশন

ফিরোজ খানের পদত্যাগ গ্রহণকারী অধ্যাপক কৌশলেন্দ্র পান্ডে বলেন, “অধ্যাপক খান এখান থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি শাখায় সংস্কৃত পড়ানোয় যোগদানের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় তিনি পদত্যাগ করেছেন। তিনি কলা অনুষদের সংস্কৃত বিভাগে যোগদান করবেন।”

প্রতিবাদী পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে শুভম তিওয়ারি বলেন, “অধ্যাপক ফিরোজ খানকে বলতে চাই আমাদের কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই... আমরা তাকে শুভেচ্ছা জানাই।”

sol0qep8

অধ্যাপক ফিরোজ খানের সমর্থনে বিএইচইউর একদল শিক্ষার্থী একটি মিছিল বের করে

৫ নভেম্বর অধ্যাপক ফিরোজ খান সংস্কৃত বিদ্যা ধর্ম অনুষদে নিযুক্ত হন কিন্তু বিক্ষোভের কারণে তিনি পড়াতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু অনুষদের সদস্য এবং কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী অবশ্য ফিরোজ খানের সমর্থনেই দাঁড়িয়েছিলেন। ফিরোজ খানকে নির্বাচন করার প্যানেলেই ছিলেন ভারতের অন্যতম প্রখ্যাত সংস্কৃত পন্ডিত অধ্যাপক রাধাবল্লভ ত্রিপাঠি। তিনি বারেবারে জানিয়েছেন ফিরোজ খানই সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী এই পদে।

আরও পড়ুনঃ কেন সংস্কৃত পড়াবেন মুসলিম অধ্যাপক? উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে যজ্ঞ করে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ

সোমবার বিএইচইউতে আরও এক সংস্কৃত পন্ডিত অধ্যাপক ফিরোজ খানকে সমর্থন করায় তার উপর হামলা চালান শিক্ষার্থীরা। সংস্কৃত বিদ্যা ধর্ম অনুষদের সদস্য অধ্যাপক লাল শান্তি জানিয়েছেন, পড়ুয়ারা তাঁর উপরে পাথর ছুঁড়ে মারে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি ক্লাসরুমেই বসে ছিলাম। তখন কিছু শিক্ষার্থী আমাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। ওরা আমাকে অনুষদে একজন মুসলিমকে নিয়োগের সমর্থন করাকে বন্ধ করতে বলে। কিছু ছাত্র তখন আমার দিকে পাথরও ছুঁড়ে মারে এবং ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।”

অধ্যাপক সালভী অভিযোগ করেছেন যে তাদেরই একজন সহকর্মী শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করছেন। তিনি সেই অধ্যাপকের নাম প্রকাশ না করলেও উপাচার্যের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেই জানিয়েছেন।

অধ্যাপক ফিরোজ খান গত একমাসে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি।

.