Read in English
This Article is From Nov 20, 2019

“তবে তো রফির ভজন গাওয়াও উচিৎ হয়নি”: মুসলিম সংস্কৃত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের প্রতিবাদ পরেশ রাওয়ালের

১২ দিন ধরে সংস্কৃত সাহিত্যের ৩০ জন শিক্ষার্থীদের একটি দল বিএইচইউর উপাচার্য রাকেশ ভাটনগরের কার্যালয়ের বাইরে বসে অধ্যাপক ফিরোজ খানের নিয়োগ বাতিল করার এবং নতুন করে নিয়োগের দাবি জানিয়ে ধর্ণায় বসেছে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

পরেশ রাওয়াল টুইট করেছেন, “অধ্যাপক ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ঘিরে আমি হতবাক। ধর্মের সাথে ভাষার কী সম্পর্ক?"

নয়াদিল্লি:

মুসলিম অধ্যাপকের সংস্কৃত পড়ানোর (Muslim professor in Sanskrit faculty) বিরুদ্ধে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে (Banaras Hindu University (BHU) পড়ুয়ারা যে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন তার কড়া সমালোচনা করলেন অভিনেতা ও বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ (Actor and former BJP MP) পরেশ রাওয়াল (Paresh Rawal)! বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএইচইউ) শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও পঠনপাঠন বন্ধের নিন্দা জানিয়ে পরেশ বলেছেন, ফিরোজ খানের (Firoze Khan) বিরুদ্ধে হওয়া এই প্রতিবাদে তিনি হতবাক। পরেশ রাওয়াল টুইট করেছেন, “অধ্যাপক ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ঘিরে আমি হতবাক। ধর্মের সাথে ভাষার কী সম্পর্ক আছে? মজার বিষয় হল অধ্যাপক ফিরোজ খান সংস্কৃত ভাষাতেই স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি করেছেন।" বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিদ্যা ধর্ম বিজননের সাহিত্য শাখায় অধ্যাপক ফিরোজ খানের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। ১২ দিন ধরে সংস্কৃত সাহিত্যের ৩০ জন শিক্ষার্থীদের একটি দল বিএইচইউর উপাচার্য রাকেশ ভাটনগরের কার্যালয়ের বাইরে বসে অধ্যাপক ফিরোজ খানের নিয়োগ বাতিল করার এবং নতুন করে নিয়োগের দাবি জানিয়ে ধর্ণায় বসেছে। উপাচার্যের কার্যালয়ের বাইরে শিক্ষার্থীরা মন্ত্রোচ্চারণ করছেন শোনায় এবং যজ্ঞও চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁরা জানিয়েছেন যে তাঁদের দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত এখান থেকে সরবেন না তাঁরা। 

আরও পড়ুনঃ কেন সংস্কৃত পড়াবেন মুসলিম অধ্যাপক? উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে যজ্ঞ করে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ

পরেশ রাওয়াল অন্য একটি টুইটে এই প্রতিবাদের নিন্দা করে বলেছেন: “একই যুক্তিতে বিখ্যাত গায়ক মহাম্মদ রফিজির কোনও ভজন গাওয়াই তবে উচিৎ হয়নি এবং নওশাদ জিরও ভজন রচনা করা উচিত হয়নি।"

বিশ্ববিদ্যালয় গত সপ্তাহে দু'বার বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, “ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে সমান শিক্ষাগ্রহণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিএইচইউ বদ্ধপরিকর।” বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, অধ্যাপক ফিরোজ খান এই কাজের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবেই বিবেচিত এবং নিয়োগের সময় সমস্ত পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়েছিল।

অধ্যাপক ফিরোজ খানকে তার নিয়োগের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায়নি। তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন ও মেসেজ করেও উত্তর মেলেনি। 

Advertisement

আরও পড়ুনঃ পোশাক বিধি না মানায়, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ছাত্রীদের লেগিংস খুলে নিল স্কুল কর্তৃপক্ষ!

ফিরোজ খানকে বিএইচইউতে সংস্কৃতের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।

অধ্যাপক ফিরোজ খান মূলত রাজস্থানের বাসিন্দা। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁর বাবাও সংস্কৃত পড়াশোনা করেছেন এবং তিনি তাঁদের এলাকায় একটি মন্দিরে ভজনও গাইতেন।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পঠনপাঠন পুনরায় চালু করা হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। “বেশিরভাগ (প্রতিবাদী) শিক্ষার্থীরাই এবিভিপি, হিন্দু মহাসভা এবং হিন্দু বাহিনীর সঙ্গে জড়িত। আমি বিশ্বাস করি যে অন্যান্য শিক্ষকদেরও এখানে একটি ভূমিকা রয়ে। কারণ আমি যদ্দূর জানি হস্টেলে থাকা ছাত্রীদের অধ্যাপকরা ধর্ণায় বসতে বলেছিলেন,” এনডিটিভিকে বলেন অধ্যাপক এমপি অহিরওয়ার।

Advertisement
Advertisement