This Article is From Jun 26, 2020

"জল বন্ধ করেনি ভুটান", বিবৃতিতে জানালো পড়শি দেশের বিদেশ মন্ত্রক

উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভুটান  ও অসমের বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানে ফাটল ধরার চেষ্টায় এই উদ্যোগ এমন অভিযোগ করেছে বিদেশ মন্ত্রক

সেচের জল বন্ধ করা সংক্রান্ত অভিযোগ খারিজ করেছে ভুটান।

থিম্পু:

অসমের কৃষকদের সেচের জল আটকায়নি ভুটান (Bhutan on irrigation water blockade)। এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করার চক্রান্ত। শুক্রবার এমন বিবৃতি দিল পড়শি দেশের বিদেশ মন্ত্রক। এদিন বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতিতে বলেছে, "২৪ জুন ২০২০ থেকে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে অসমের কৃষকদের (Assam's farmer) সেচের জল আমরা আটকেছি। সমস্যায় বাক্সা আর উদালগুড়ির কৃষকরা। এটা অত্যন্ত ভয়াবহ অভিযোগ। তাই বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্ট করতে চায় এই ধরনের সংবাদ ভিত্তিহীন এবং ভুটানের জল বন্ধ করার মতো কোনও কারণ নেই।" উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভুটান  ও অসমের বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানে ফাটল ধরার চেষ্টায় এই উদ্যোগ এমন অভিযোগ করেছে বিদেশ মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার রাতে অসমের মুখ্যসচিব কুমির সঞ্জয় টুইট করে বলেন, "এই প্রতিবেদন অসত্য। প্রাকৃতিক কারণে জল বন্ধ হয়েছে।"

এদিন জারি করা বিবৃতিতে ভুটান সরকার বলেছে, "বহুযুগ ধরে বাক্সা আর উদালগুরি আমাদের জল পেয়ে সমৃদ্ধ। আগামিদিনেও সেই জল পাবে। এমনকী, এই করোনা সঙ্কটের মুহূর্তেও সেই জল পেয়েছে।"

এদিকে, লাদাখে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিল যে,  এই বছর ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একেবারে অন্যরকম আচরণ করেছে চিন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন যে, চিনা সেনারা পারস্পরিক সমঝোতার সমস্ত নিয়মকে অবজ্ঞা করেছে। মন্ত্রক একথাও জানিয়েছে যে, লক্ষ্য করা গেছে, চলতি বছরের মে মাসের শুরু থেকেই চিন এলএসি-র কাছাকাছি প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে। এই কার্যকলাপের মাধ্যমেও তারা দু'দেশের মধ্যে থাকা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির লঙ্ঘন করেছে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের আশঙ্কা, বর্তমান পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে তবে সীমান্তের পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক কর্নেল সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। ওই সংঘর্ষের সময় জখম হন আরও ৭৬ জন ভারতীয় জওয়ানও।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে, চিন যেভাবে এই অঞ্চলে আরও বেশি করে সেনা মোতায়েন করছে তাতে দু'দেশের মধ্যে শান্তিরক্ষার্থে ৬ জুন যে চুক্তি করা হয়েছিল তা লঙ্ঘিত হয়েছে। দুই দেশের মেজর জেনারেল স্তরে হওয়া ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছিল যে এলএসির কাছে থাকা চিনা ছাউনিটি সরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তা হয়নি। কেননা অধিগৃহীত জমি থেকে চিনা সেনারা সরে গেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই ১৫ জুন শহিদ কর্নেল বিএল সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে এলাকা পরিদর্শনে বেরোয় ভারতীয় বাহিনী।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)

.