ছবিটা চোখ কপালে তোলার মতোই। পাকিস্তানের করাচিতে তাঁর নিজস্ব চিড়িয়াখানায় বসে পোষা সাদা সিংহের গায়ে নির্ভয়ে হাত বোলাচ্ছেন বিলাল মনসুর খাজা। পশুরাজও দিব্যি মালিকের গায়ে গা ঠেকিয়ে বসে আরাম করে আদর খাচ্ছে। পোজ দিয়ে ছবিও তুলেছে তাঁর সঙ্গে। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে দিতেই যথারীতি তা ভাইরাল। শুধু কি এই! বিলালের নিজস্ব চিড়িয়াখানায় নাকি এমন অনেক বিরল বন্য পশু আছে যা পৃথিবীতে বিলুপ্ত প্রায়। সেখান থেকে তিনি নাকি বিশ্বের তাবড় তাবড় ধনি ব্যক্তিদের সরবরাহ করেছেন বেশ কিছু পশু!
২৯ বছরের এই শিল্পপতির দাবি, এই ধরনের দুর্লভ পশু তাঁর কাছে হাজারে হাজারে আছে। তার মধ্যে অন্যতম এই সাদা সিংহ। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে এই ধরনের পশু রফতানি করা অনেকটাই সহজ। কারণ, এবিষয়ে এই দেশে ততটাও কড়াকড়ি নেই। কিন্তু এতে দেশের অভ্যন্তরে বিরল পশুর সংখ্যা আরও কমে আসছে। বিশেষ করে সংখ্যা কমছে সিংহের। যে পশুকে পাকিস্তানে সম্পদ ও ক্ষমতার প্রতীক হিসাবে দেখা হয়। ফলে, বাইরে থেকে সিংহ আমদানি করে বংশবৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে দেশজুড়ে।
এই প্রসঙ্গে খাজা জানিয়েছেন, করাচির শহরে এখন সিংহের সংখ্যা মাত্র ৩০০ টি। তাদের রাখা হয়েছে বাড়ির ছাদের খাঁচায়, ছাড়া থাকে বাগানে এবং খামার বাড়িগুলিতে। খাজা সংগ্রহে এই মুহূর্তে রয়েছে ৪ হাজার পশু। যার মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান এই সাদা সিংহ এবং বাঘ।
তবে খাজার মতে, তিনি পশু পোষেন নিজের ক্ষমতা দেখানোর জন্য নয়। তিনি পশুপ্রেমী বলেই বাড়িতে নিজস্ব চিড়িয়াখানা করেছেন। তাঁর সমস্ত পশুদের যত্ন নেওয়ার জন্য, ৩০ জনের বেশি কর্মচারী আছে।
সম্পূর্ণ অপারেশনটি একটি ভাগ্য খরচ করে, খাজা স্বীকার করেন, যদিও তিনি নিজের ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানার জন্য কতটুকু শিলা দিয়েছেন তার একটি অনুমান প্রদান করতে অস্বীকার করেছেন।
পশু রফতানি নিয়ে পশু বিক্রেতা আলেম পরচার মত, দেশে সরকারের থেকে পারমিট সহ নিয়ে বিদেশে পশু রফতানি করা যায়। এমনকি সাদা সিংহও। তিনিই বিদেশে অনেকবার সাদা সিংহ রফতানি করেছেন।