বুধবার সন্ধায় নিজের বাসভবনে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, কৃষিমন্ত্রী রাধামোহন সিং।কৃষিঋণ মকুব করা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। ৫ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন।তার আগেই কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বড় ঘোষণা করতে পারে বলে সূত্রের খবর।
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে ক্ষমতাচ্যূত হয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, সামনেই লোকসভা নির্বাচন।কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে কংগ্রেসের লাগাতার প্রচারে যে সারা মিলেছে, তার প্রমাণ মিলেছে ভোটের ফলেই। লোকসভা নির্বাচনে কৃষকদের বিক্ষোভ যথেষ্ঠ ভাল প্রভাব ফেলতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
সারাদেশের কৃষকদের ঋণ মকুব না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে ঘুমোতে দেবে না কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধীরা। এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সভাপতির সেই হুঁশিয়ারির জবাব দিতেই প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের অন্দরমহলে ঘোরাফেরা করছে দুটি উদ্য়োগ।তারমধ্যে একটি হল, ফসলের উৎপাদন খরচ ও বাজামূল্যের পার্থক্যের অঙ্ক নগদে দেওয়া।কৃষকদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা করার চিন্তাভাবনা চলছে।
মধ্যপ্রদেশে বিগত শিবরাজ সিং চৌহ্বাণের আমলে এই ধরণের প্রকল্প ছিল।এছাড়া ঝাড়খণ্ডেও ভর্তুকির টাকা দেওয়ার চল রয়েছে। এছাড়াও কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের ক্রেডিট লিমিটও বৃদ্ধি করতে পারে মোদী-সরকার।