This Article is From Jul 04, 2018

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জয় হয়েছে দিল্লির জনতার, বললেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল

ক্ষমতার প্রশ্নে উপরাজ্যপালের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জয় হয়েছে দিল্লির জনতার, বললেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল

মুখ্যমন্ত্রী এবং উপরাজ্যপালের এই লড়াই চলছে অনেক দিন ধরে

নিউ দিল্লি:

সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।  যেভাবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত নির্বাচিত সরকারের হাতেই  ক্ষমতা রাখার পক্ষে রায় দিয়েছে তাকে দিল্লির মানুষেরই জয় হিসেবেই  দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী।  আজ আদালত জানিয়েছে আইন-শঙ্খলার মতো কয়েকটি ব্যাপার ছাড়া অন্য কোনও  বিষয়ে সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না উপরাজ্যপাল অনিল বৈজল। রায়ের পর টুইট করে তিনি জানিয়েছেন  "  দিল্লির জনগনের বড় জয়, গণতন্ত্রের বড় জয়। '

 

মুখ্যমন্ত্রী এবং উপরাজ্যপালের এই লড়াই চলছে অনেক দিন ধরে। কয়েকমাস আগে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে।  বলা হয় খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তাঁকে হেনস্থা করেছেন শাসক দলের নেতারা।  এরপর থেকেই দিল্লির আমলারা নিজেদের কাজ করছেন না বলে  দাবি করে সরকার। যদিও সেই দাবি খারিজ করেছেন আমলাদের একটা বড় অংশ। গোলমালের সময়  মুখ্যমন্ত্রী বার বার  বলতে থাকেন আমলাদের মদত করছেন উপরাজ্যপাল । যাতে সরকার চালাতে সমস্যা হয় তাই  এসব করা হচ্ছে। কাঠগড়ায় তোলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও।  শুধু তাই নয় আরও নানা ভাবে বেকায়দায় ফেলা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। এই দাবিকে সামনে রেখে উপরাজ্যপালের বাসভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন অরবিন্দ। দিনের পর দিন সেভাবেই কাটতে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী  অরবিন্দর পাশে দাঁড়ান। নীতি আয়োগের বৈঠকের মাঝে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও সমস্যা সমাধানের আর্জি জানান তাঁরা।  এরই মাঝে চলতে থাকে আইনি লড়াই। শেষমেশ রায় দিল আদালত।    

মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী মণিশ সিসোদিয়াও। উপরাজ্যপালকে কেন্দ্রের প্রতিনিধি আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন , ' এবার রাজ্য সরকারের কর্মীদের বদলির মতো বিষয়ে আর হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না উপরাজ্যপাল। তাছাড়া দিল্লি সরকার সংক্রান্ত ফাইলও তাঁর কাছে পাঠাতে হবে না কেন্দ্রীয় সরকারকে।' এর ফলে সরকারের কাজে গতি আসবে বলে মনে করেন মণিশ। উপরাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাতের সময়  অবস্থান বিক্ষোভে বসে অসুস্থ হয়ে  পড়েছিলেন মণিশ। 

.