নয়াদিল্লি: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Election) জন্য অনলাইনে প্রচার শুরু করলেন অমিত শাহ (Amit Shah) । রবিবার প্রচার শুরুতে গত ৬ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরলেন তিনি। যদিও, এদিন অমিত শাহ দাবি করেন, করোনা ভাইরাস এবং তারজন্য জারি করা লকডাউনের আবহে এই সভা প্রয়োজন ছিল, এরসঙ্গে “বিহার নির্বাচনের কোনও যোগ নেই”। কংগ্রেসের দিকে ইঙ্গিত করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “এটা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হওয়া যোদ্ধাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য। যারা এরমধ্যে রাজনীতি দেখছে, আমি তাদের বলতে চাই, কে তাদের সভা করতে নিষেধ করেছে? আপনারা সকলেই দিল্লিতে আরামে বসে রয়েছেন”।
অমিত শাহ সাফ জানান, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে বিহার নির্বাচনে লড়াই করবে বিজেপি, এবংমানুষকে মনে করিয়ে দেন যে, “যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি ভোটের ঝুলি নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছিলেন, তখন আপনরা সেই ঝুলি পূর্ণ করিয়ে দিয়েছিলেন এবং তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছিলেন”।
অমিত শাহের বার্তার ইঙ্গিত পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকে। পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোগান্তি নিয়ে ব্যপক সমালোচনার মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় ও বিহারের নীতীশ কুমার সরকার, পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা বড় অংশ বিহার ও উত্তরপ্রদেশের।
অমিত শাহ বলেন, “বিহারের মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে নেতারা। কিন্তু আপনাদের এই ধরণের কথাবার্তা থেকে দূরে থাকতে হবে। মনে রাখবেন, গোটা দেশ আপনাদের প্রশংসা করে। যখন আপনারা উন্নয়নশীল রাজ্যের ভিত্তি দেখবেন, আরপনারা দেখতে পাবেন, তাঁদের ভিত্তিতে রয়েছে বিহারের ছোঁয়া”।
পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে. অমিত শাহ বলেন, “প্রায় ১.২৫ কোটি মানুষকে ঘরে ফিরিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মানুষ হেঁটে আসছিলেন,যখন আমরা সেটি দেখতে পাই, আমরা তাঁদের স্টেশনে পৌঁছে দিতে বাস চালাই, এবং ট্রেনও চালু করি। আমরা খাদ্য, স্বাস্থ্য পরিষেবা, ও পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করি”।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যের বিভিন্ন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, “তাঁদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। তারপর পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়”। এমনকী, তাঁদের ট্রেন ভাড়ার ৮৫ শতাংশ সরকার বহন করেছে বলেও জানান তিনি।
পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা, খাবার, আশ্রয় কাজ হারিয়ে পথে নামতে বাধ্য হন তারা, কয়েকশো কিলোমিটার পথ হেঁটে পাড়ি দিতে বাধ্য হন তাঁরা।
লকডাউন ঘোষণার একমাস পর, ১ মে রেল পরিষেবা চালু করে সরকার।