জনসংখ্যাপঞ্জী নিয়ে দলের অবস্থান জানাননি নীতীশ কুমার
পটনা: জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জী (National Population Register) নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল নীতীশ কুমার সরকার (Nitish Kumar Government), জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর (National Registry of Citizens) প্রথম ধাপ এটি। ১৮ ডিসেম্বরের ওই নির্দেশিকা পেয়েছে NDTV, সেখানে বলা হয়েছে, ১৫ মে এর কাজ শুরু হবে, শনিবার সেই সময়সীমা দিয়েছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি। জেডিইউ এর মুখপাত্র কেসি ত্যাগী বলেন, “এনপিআর নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই, এটা কংগ্রেস আমলে শুরু হয়েছিল, এবং তখন কোনও আপত্তি ছিল না”। সুশীল মোদির নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিল্পমন্ত্রী এবং বর্ষীয়ান জেডিইউ নেতা শ্যাম রজক, তাঁর দাবি, এই ধরণের কোনও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতেন না তিনি।
শিল্পমন্ত্রী তথা এই জেডিইউ নেতার দাবি, “ব্যক্তিগত ক্ষমতায়” এই বিবৃতি জারি করেছেন সুশীল মোদি, এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারই এই ধরণের কোনও নির্দেশিকার জারি করার উপযুক্ত ব্যক্তি।
ইন্ডিয়া গেটে জমায়েত শতাধিক, ভারতে নাগরিকত্ব আইন বয়কটের শপথ
অবস্থান বদল করে নাগরিকত্ব আইনে শেষ মুহুর্তে সমর্থন দিয়েছেন নীতীশ কুমার, জনসংখ্যাপঞ্জী নিয়ে তাঁর দলের অবস্থান জানাননি তিনি, তাঁর একাধিক নেতা তাঁকে দলের অবস্থান জানানোর অনুরোধ করেছেন। দলের তরফে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন সহ তাঁর একাধিক কর্মসূচী রয়েছে, সেগুলি শেষ হলে ১৯ জানুয়ারির পর দলের অবস্থান জানানো হবে।
সাধারণের অজানা থাকা সত্ত্বেও, বিহার সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি ইঙ্গিত করে যে, এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর পক্ষেই নীতীশ কুমার, সমালোচকদের দাবি, ধর্মীয় দিক থেকে এটি বিভাজনমূলক।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে লেখা চিঠিতে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং লেখেন, “দেশজুড়ে এনআরসি কার্যকর হওয়ার ভীতি রয়েছে, সরকারের জারি করা বিবৃতিতে সংঘাত তৈরি হয়েছে, যার ফলে অনাস্থা তৈরি হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন স্বাভাবিকভাবেই অনেকজনকে বঞ্ছিত করবে, (যদি তা না হয়) মুসলিমদের অধিকার থেকে বঞ্ছিত করবে”।
"মানুষকে সমস্যায় ফেলতে পারে" এমন কিছুর প্রয়োগ নয়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, দেশের অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দূর করতে সাহায্য করবে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী, বলা হয়েছে, এখনই জাতীয় নাগরিকপঞ্জী করার কোনও পরিকল্পনা নেই, কখনও এটি দেশজুড়ে করার কথা আগে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক মুখ্যমন্ত্রী আইনটি তাঁদের কার্যকর করার বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন। গতমাসে, জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জীর বিজ্ঞপ্তি বন্ধ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পথে হেঁটেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন।