মৃত মেয়ের পোড়া হাত নিয়েই থানায় অভিযোগ জানাতে ছোটেন বাবা (প্রতীকি ছবি)
হাইলাইটস
- বিহারের পশ্চিম চম্পারন জেলার ঘটনা
- পুত্রবধূকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খুন করেছে বলে অভিযোগ
- শেষকৃত্যের সময়েই সেখানে হাজির হন মহিলার বাবা
বিহার: ফের সামনে এল বধূহত্যার এক মর্মান্তিক খবর। বিহারে এক বধূকে খুন করে তাঁকে সাততাড়াতাড়ি পুড়িয়ে ফেলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় ছিলেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু সেই সময়েই তাঁদের ষড়যন্ত্রে বাদ সাধলেন মৃত মহিলার বাবা। বিহারের পশ্চিম চম্পারনে এক মহিলাকে হত্যা করে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা, শ্মশানে দাহ করার সময় সেখানে হাজির হন মহিলার বাবা, তারপরই চিতা থেকে মেয়ের আধপোড়া হাত সংগ্রহ করে (Dead daughter's hand) থানায় (Police Station) অভিযোগ জানান তিনি। লরিয়া থানার (Bihar) পুলিশ আধিকারিক রণধীর কুমার ভাট জানান, ওই মহিলার নাম সংগীতা দেবী এবং তিনি ভুটকুন রামের স্ত্রী। তিনি বলেন মৃত সংগীতার বাবা রামনাথ রাম ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর জামাই সহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন।
আদালত চত্বরেই স্ত্রীকে খুন, গ্রেফতার স্বামী
ওই পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে। অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে এবং তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সাথী থানার অন্তর্গত পরোড়া গ্রামের বাসিন্দা রামনাথ রাম পুলিশের কাছে অভিযোগে করেন যে, তিনি ১০ বছর আগে তাঁর মেয়ে সংগীতার সঙ্গে সুচাপ্প গ্রামের বাসিন্দা ভুটকুন রামের বিয়ে দেন। তাঁর মেয়ের আট ও সাত বছরের দুটি ছেলেও রয়েছে।
"আলাদা করতে চাননি ঈশ্বর": আমেরিকায় নৌকায় অগ্নিকাণ্ড, মৃত ভারতীয় দম্পতি
তিনি অভিযোগ করেছেন যে পণের দাবিতে তাঁর মেয়ের উপর অত্যাচার চালাচ্ছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। রামনাথ অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাতে সংগীতার স্বামী, তাঁর দুই দেওর সঞ্জিত, দীপু এবং শ্বশুর মিলে তাঁকে হত্যা করেন। মৃত মহিলার বাবা আরও অভিযোগ করেন যে সংগীতার মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি ওই গ্রামে গিয়ে শোনেন যে তাঁকে পোড়ানোর জন্যে শ্মশানে যাওয়া হয়েছে। তখনই তিনি মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লাশ পোড়ানোর বিরোধিতা করলে তাঁকে প্রচণ্ড অপমানও করা হয়।
রামনাথ বলেন, তাঁর মেয়েকে পোড়ানো নিয়ে বাদানুবাদ চলাকালীন তিনি মেয়ের একটি আধপোড়া হাত চিতা থেকে তুলে থানায় ছুটে আসেন। যাতে মেয়ের মৃত্যুর আসল কারণ জানা যায়।
জেনে নিন সেরা খবরগুলি: p>
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)