Bihar flood: প্রায় ২১.৪৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে
পটনা: সেপ্টেম্বরের শেষ তিনদিনে লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বিহারে বন্যায় (Bihar Flood) মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫, ৪২ থেকে সংখ্যাটা ৫০ ছাড়িয়েছে, বুধবার এমনটাই জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। বৃষ্টি থামার দুদিন পরেও, পটনায় (Patna) জলস্তর নামেনি। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার (Nitish Kumar) জানান, পাম্প কাজ করছে না এবং সঙ্কট কেটে গেলে এ ব্যাপারে তিনি নগরোন্নয়ন দফতরে কাজে লাগাবেন বলে জানিয়েছেন, যা জল জমা নিয়ে জোটসঙ্গী বিজেপিকে কটাক্ষ বলে মনে করা হচ্ছে। গত কয়েকদিনে কুকুর, শুয়োরসহ বিভিন্ন প্রাণীর দেহ ভেসে বেড়াচ্ছে জলে, ফলে পটনায় স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। যদিও জল থেকে মৃত পশুদের দেহ তোলার কাজ শুরু হয়েছে, তবে কাজের অগ্রগতি খুবই ধীর।
মঙ্গলবার পাম্পিং স্টেশনগুলি ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার, মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫০ শতাংশ পাম্প কাজ করছে না বলে জানান তিনি, “আগামী কয়েকদিনে” জল বের করা যাবে বলে জানান নীতিশ কুমার। নগরোন্নয়ন দফতরের কাজ “সন্তোষজনক নয়, অনেক কাজ বাকি”, বলে জানান নীতিশ কুমার, পাশাপাশি আশ্বাস দেন, ভবিষ্যতে এই তিনি বিষয়টি দেখভাল করবেন।
বৃষ্টিতে উত্তরপ্রদেশে ৪ দিনে মৃত ৮০, জনজীবন বিপর্যস্ত বিহারেও: ১০ তথ্য
শুধুমাত্র যে সময় নীতিশ কুমার জোট ভেঙেছিলেন, সেই সময় ছাড়া, ২০০৫ থেকে নগরোন্নয়ন দফতরটি রয়েছে বিজেপির দখলে। গত কয়েকদিনের বেশী সময়ে, জল জমা নিয়ে বিজেপির আক্রমণের মুখে পড়েছেন নীতিশ কুমার। প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গিরিরাজ সিং এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল।
একসময়ে নীতিশ কুমারের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন গিরিরাজ সিং, এবং মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচক বলে পরিচিত। তিনি বলেন, পটনার মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত রাজ্য সরকারের। প্রশাসনের “গাফিলতির” কথা বলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়ালও।
ফারাক্কা ব্যারেজে ঠিক সময়ে ড্রেজিং হলে বিহারের বন্যা রোখা যেত: মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বুধবার, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বলেন, “আমি মানুষের কল্যাণের প্রতি দায়বদ্ধ, প্রচারের প্রতি নয়। আমি প্রচার এবং নামে বিশ্বাসী নই আমি”। তারপরেই বিরোধীদের দিকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “যারা কাজ করে না, তারাই শুধু প্রচার করে বেড়ায়”।
বুধবার রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ১৫টি জেলার ৯৫৯টি গ্রাম বন্যার কবলে। প্রায় ২১.৪৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানায় রাজ্য।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে, ৪৫টি ত্রাণ শিবির এএবং ৩২৪টি রান্নাঘর তৈরি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সরাতে ১০০০ এরও বেশী নৌকা নামানো হয়েছে।