This Article is From Jan 22, 2019

চিতায় তুলে জীবন্ত স্ত্রী'র মুখাগ্নি করতে গিয়ে গ্রেফতার এক ব্যক্তি

তাদের বিয়ে হয়েছে ১৩ বছর আগে। এই পুরো সময়টা জুড়েই শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা বহু অত্যাচার করে চলেছিল ওই ভদ্রমহিলার ওপর।

চিতায় তুলে জীবন্ত স্ত্রী'র মুখাগ্নি করতে গিয়ে গ্রেফতার এক ব্যক্তি

জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছিল এই মহিলাকে

হাইলাইটস

  • বাকি অভিযুক্তদের খুঁজছে পুলিশ
  • মহিলার অভিযোগের তীর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দিকে
  • পুলিশ এই মুহূর্তে তদন্ত চালাচ্ছে
পটনা:

সতীদাহের কলঙ্কময় ইতিহাসের কথা জানে প্রায় সকলেই। স্বামীর মৃত্যুর পর তার চিতাতেই শাড়ি পরিয়ে জীবন্ত স্ত্রী'কে বসিয়ে দেওয়া হত। তেমনই এক ঘটনার কথা সামনে এল। তবে এখানে কাহিনীটি কিঞ্চিৎ আলাদা। এখানে স্বামী তার জীবন্ত স্ত্রী'কে চিতায় সুন্দর করে সাজিয়ে মুখাগ্নি করার পরিকল্পনা করেছিল। ঠিক সময়ে পুলিশ এসে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে নেয়। এই ঘটনাটি ঘটে পটনার সন্দেশ থানা এলাকার সারীপুর বালুঘাটে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রবীন্দ্র ঠাকুর। তাদের বিয়ে হয়েছে ১৩ বছর আগে। এই পুরো সময়টা জুড়েই শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা বহু অত্যাচার করে চলেছিল ওই ভদ্রমহিলার ওপর।

ক্লিনিকের ভিতর নাবালিকার যৌন নির্যাতন, পাঁচ বছরের জেল হল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের

ওই ভদ্রমহিলা কোনও সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি বলেই শ্বশুরবাড়ির লোক অকথ্য অত্যাচার চালাত বলে জানা গিয়েছে। শুনতে হত অবিরাম বহু বঞ্চনা। কয়েকদিন আগে ভদ্রমহিলার শরীর খারাপ হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে, হাসপাতাল থেকে কীভাবে চিতায় চলে গেলেন তিনি তা কিছুতেই মনে করতে পারছেন না ওই মহিলা। আসলে তেমনভাবে কথাই বলতে পারছেন না তিনি। কারণ, ২৮ বছরের ওই মহিলার শরীরের ৬০ শতাংশ জ্বলে গিয়েছে। ওই মহিলা এর আগেও শ্বশুরবাড়ির নামে দু'বার থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে সেই অভিযোগ গ্রহণ করেনি পুলিশ, জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

পুলিশ আপাতত তাঁকে হাসপাতালে ফিরিয়ে এনেছে। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানা গিয়েছে।

.