মাঝেমধ্যেই নীতিশ কুমারকে বিহারে জোটের নেতা বলে উল্লেখ করেন সুশীল মোদি
পটনা: ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে (Jharkhand Elections) পরাজয় হয়েছে বিজেপির, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (All Jharkhand Students Union) সঙ্গে জোটও ভেঙেছে গেরুয়া শিবিরের, এই পরিস্থিতিতে বিহার বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়ে দিল, আসন সমঝোতা নিয়ে মতবিরোধী থাকা সত্ত্বেও, নীতিশ কুমারের (Nitish Kumar) জনতা দল ইউনাইটেডের সঙ্গে জোট অক্ষুণ্ণ এবং শক্তিশালী রয়েছে। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি ট্যুইট করেন, “বিহারে এনডিএ একজোট রয়েছে, আসন সমঝোতা নিয়ে কোনও মতভেদ নেই। আমাদের জোটের নেতৃত্বে পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার”। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ঝাড়খণ্ডে জোটের নেতা হেমন্ত সোরেনের প্রশংসা করেন তিনি, যদিও তা ছিল রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা তেজস্বী যাদবকে ছোটো করা।
ট্যুইটে সুশীল মোদি আরও উল্লেখ করেন, “মহাজোটের নেতৃত্বে হেমন্ত সোরেনের মতো কোনও শিক্ষিত, সাধারণ, এবং নম্র ব্যক্তির হাতে নেই, তবে এমন একজনের হাতে রয়েছে, মাত্র ২৯ বছর বয়সে যাঁর বিরুদ্ধে ৫৪টি বেনামী সম্পত্তি মামলা রয়েছে”।
সদ্য সমাপ্ত ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল করেছে কংগ্রেস-ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জোট, ৪৭টি আসনে জয়লাভ করেছে তারা, সেখানে বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে ২৫টি আসন, এবং অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ঝুলিতে দুটি। এমনকী, যখন ভোটগণনা হচ্ছিল, বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব দাবি করেন, পরের বছর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে।
সুশীল মোদির ট্যুইটকে তাঁর এই মন্তব্যেরই জবাব বলে মনে করা হচ্ছে।
ঝাড়খণ্ড ছাড়াও, নির্দিষ্ট সময় অন্তর মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য শিবসেনার দাবির সঙ্গে একমত না হওয়ায় ৩০ বছরের জোট ভাঙার পাশাপাশি মহারাষ্ট্রও হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। জেডিউ নেতা সঞ্জয় সিং, জোটসঙ্গীদের ভাগ্যে বিজেপির উন্নতি বলে বার্তা দেন। এমনকী, শিরোমণি আকালি দলের নেতা নরেশ গুজরাল বলেন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর মতো একাধিক বিষয়ে “অসন্তুষ্ট” বিজেপির জোটসঙ্গীরা।
যাইহোক, বিহারে জোটসঙ্গীদের মধ্যে কোনওরকম মতবিরোধের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ রামকৃপাল যাদব, তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের দারুণ কাজের ওপর ভর করে পরেরবার আবারও ক্ষমতায় ফিরবে জোট।
এখন, যে কোনও মূল্যে জনতা দল ইউনাইটেডকে ভালভাবে রাখতে চায় বিহার বিজেপি নেতৃত্ব। চলতি বছরের গোড়ার দিকে, পটনায় বন্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেছিল গিরিরাজ সিং-এর, তাঁকেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জী অথবা নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে, নির্বাচনে জেডিইউ-এর তরফে বড় সংখ্যায় আসন দাবি করা হতে পারে বলে গেরুয়া শিবিরের আশঙ্কা।