এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে (প্রতীকী ছবি)
কাটিহার, বিহার: বিচারকের হাতে হেনস্থা হতে হল এক পুলিশ কর্মীকে। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে যে, বিহারের (Bihar) কাটিহারে এক পুলিশ কর্মীকে মেজাজ হারিয়ে ব্যাপক মারধর করেন এক বিচারক। দীর্ঘক্ষণ তাঁর গাড়ি ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকায় মেজাজ হারান তিনি (Judge)। পুলিশ কর্মীকে মারধর করায় তাঁর ইউনিফর্মও ছিঁড়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযুক্ত বিচারকেরই সুরক্ষায় মোতায়েন করা হয়েছিল নিগৃহীত পুলিশ কর্মীকে। কাটিহারের (Katihar) সহায়ক থানার এসএইচও, রাকেশ কুমার জানিয়েছেন, কাঠিহার জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার মল্লিক পাল্টা তাঁর নিরাপত্তা কর্মী হরিবংশ কুমারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই বিচারক অভিযোগ করেন যে হরিবংশ কুমার নামের ওই পুলিশ কর্মী তাঁর কার্যালয়ে ঢুকে গিয়ে অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করে তাঁকে লক্ষ্য করে। যদিও তার আগেই ওই বিচারকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন হেনস্থা হওয়া পুলিশ কর্মী হরিবংশ কুমার।
ধাবায় মাত্র ১৮০ টাকার খাবারের বিল না মেটানোয় পিটিয়ে মারা হল এক ব্যক্তিকে
বুধবার গভীর রাতে দায়ের করা তাঁর অভিযোগে হরিবংশ কুমার জানান যে তাঁর বাসভবন থেকে আদালতে যাওয়ার পথে ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়লে বিচারক নিজের মেজাজ হারিয়ে ফেলেন।
কুমার আরও অভিযোগ করেন যে আদালত চত্বরে গাড়ি পৌঁছানো পর্যন্ত বিচারক তাঁকে লাঠিপেটা করতে থাকেন এবং তার ইউনিফর্ম ছিঁড়ে দেন। ওই পুলিশ কর্মী জানান, কোনওক্রমে তিনি পালিয়ে গিয়ে কালেক্টরেট চত্বরে লুকিয়ে নিজের জীবন বাঁচিয়েছিলেন।
এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পুলিশকর্মী সমিতির সদস্যরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। তাঁরাই তখন নিগৃহীত হরিবংশ কুমারকে সঙ্গে নিয়ে কাটিহার পুলিশ সুপারের অফিসে যান এবং ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। পুলিশ সুপারই তখন হরিবংশকে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলেন।
অক্টোবরের ১৮ থেকেই কলকাতা-হো চি মিন সিটি সরাসরি উড়ান, ঘোষণা করল IndiGo
হরিবংশ কুমার অভিযোগ দায়ের করার কিছুক্ষণ পরেই, অভিযুক্ত বিচারকের হয়ে আদালতের এক আধিকারিক থানায় এসে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগে বলা হয় যে নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে নিয়োগ থাকা হরিবংশ কুমার বিচারকের নিজস্ব কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, জানিয়েছেন কাটিহারের সহায়ক থানার এসএইচও রাকেশ কুমার।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি এও আশ্বাস দেন যে আইন মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে, শাস্তি পাবেন প্রকৃত অভিযুক্ত।